মুকেশ আম্বানির পৈতৃক বাড়ি যেন রাজপ্রাসাদ, দেখুন চোখ ধাঁধানো অন্দরমহলের ছবি গ্যালারী

মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani), ভারতে শুধু নয় গোটা বিশ্বের কাছে এই নামটাই শুধু যথেষ্ট। গোটা পৃথিবীর কাছে মুকেশ আম্বানির নামটাই একটা ব্র্যান্ড। সাধারণের তার সম্পর্কে জানার আগ্রহ তুঙ্গে। মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানির সময় থেকেই আম্বানি পরিবারের ব্যবসায়িক মহলে সুখ্যাতি ছিল। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির (Dhirubhai Ambani) পৈত্রিক বাড়িটি দেখেছেন?

এখন মুকেশ আম্বানি তাঁর পরিবার নিয়ে থাকেন মুম্বাইয়ের সব থেকে বিলাসবহুল অ্যান্টেলিয়া বাড়িতে। এই বাড়িটি এশিয়ার সবথেকে বিলাসবহুল বাড়ি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কিন্তু গুজরাটের চোরওয়াদের গ্রামে ধীরুভাই আম্বানির ছোটবেলা কেটেছে। এই বাড়িটি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। এখানে ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছিলেন ধীরুভাই।

MUKESH AMBANI`S ANCESTRAL HOME

এই বাড়িটি এখন ধীরুভাই আম্বানির নামে মিউজিয়াম হিসেবে সংরক্ষিত হয়েছে। তার স্মৃতি বিজড়িত নানা জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো রয়েছে বাড়ির অন্দরমহল। এখন ধীরুভাই আম্বানি ফাউন্ডেশন এই বাড়িটির পরিচালনা করছে। বাড়িটিকে কার্যত ধীরুভাই আম্বানির মেমোরিয়ালে পরিণত করেছেন তার পুত্ররা। ১০০ বছরের পুরনো এই বাড়িকে কিছু বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল।

বাড়িটিকে সংস্কার করলেও অবশ্য মূল নকশার সঙ্গে মিল রেখে নতুন করে বাড়ির ডিজাইন করা হয়। নতুন করে এই বাড়ির ডিজাইন তৈরি করে অমিতাভ তেওয়াতিয়া ডিজাইনস সংস্থা। বাড়িটিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ আম্বানি পরিবারের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। আরেকটি অংশ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

MUKESH AMBANI`S ANCESTRAL HOME

ধীরুভাই আম্বানির স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়ি দর্শনের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। এখানে হামেশা পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। বাড়ির ভেতরের অংশে সুভ্যেনিরের দোকানের সাথে আম্বানি পরিবারের কিছু স্মৃতিচিহ্ন রাখা আছে। মুকেশ আম্বানি ও অনিল আম্বানির মা তথা ধীরুভাই আম্বানির স্ত্রী কোকিলাবেন আম্বানি আজও এই বাড়িতে সময় কাটাতে আসেন।

MUKESH AMBANI`S ANCESTRAL HOME

আম্বানিদের এই পৈত্রিক ভিটের অন্দরমহলের পাশাপাশি বাইরেটাও খুবই সুন্দর করে সাজানো। বাড়ির চারপাশ সবুজ বাগানে ঘেরা। এই বাড়িতে ধীরুভাই এবং তার স্ত্রী কোকিলাবেন ৮ বছর কাটিয়েছিলেন। এই বাড়ির সঙ্গে তাই কোকিলাবেনেরও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই তিনি সময় পেলেই চলে আসেন এই বাড়িতে।