রচনা ব্যানার্জী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের পর এবার সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly)। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে একের পর এক তারকাও কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে নির্মমভাবে ধর্ষণ এবং হত্যাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’র চোখে দেখেন সৌরভ। আর সেই কারণে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার নেটিজেনরা। পাশাপাশি সৌর কে ধুয়ে দিলেন স্বস্তিকা মুখার্জী (Swastika Mukherjee), শ্রীলেখা মিত্ররাও।
আর জি কর প্রসঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলীকে প্রশ্ন করা হলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো কিছু নিরাপদ নয়, এটা মনে করা ঠিক হবে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। একটা ঘটনা দেখে সবটা বিচার করা উচিত নয়। তবে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।” সৌরভের এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং দুর্ঘটনার তত্ত্ব মানতে নারাজ সকলে।
সৌরভের বক্তব্য শোনার পর চুপ থাকতে পারেননি স্বস্তিকা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা পোস্ট করে লেখেন, “আমি কোনও দিন দাদাগিরি তে যাইনি। যাওয়া হয়নি। আর কোনও দিন যাব না। দুর্ঘটনাবশত যাব না, সেটা নয়। নিজের ইচ্ছেতেই যাব না। ধর্ষণ ও খুন কোনও দুর্ঘটনা নয়। আর অবশ্যই এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনাও নয়। আমাদের সুন্দর দেশে কোনও বয়সের মেয়েরাই নিরাপদে নেই। কোনও রাজ্যেই নয়। এই দুই কাজ — ধর্ষণ এবং খুন ইচ্ছাকৃত। যারা করেছে, যারা করে, তারা ইচ্ছে করে করেছে বা করে। জেনে বুঝেই করেছে বা করে। যাদের এখনও ঘুম ভাঙেনি, তাদের আর ভাঙবে না।”
সৌরভকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো লেখেন, “আমাদের প্রিয় আইকন, আপনি এই হিংসার ঘটনাকে এত তুচ্ছ হিসেবে না দেখালেই পারতেন।” স্বস্তিকা প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে আরজি কর প্রসঙ্গ নিয়ে সোচ্চার। ঘটনা ঘটার পর তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে লেখেন, “ক্রোধ, অসহায়তা, ভয়— এই অনভূতিগুলো যেন আমাদের মধ্যে থেকে চলে না যায়, যত ক্ষণ পর্যন্ত আমরা আবার নিরাপদ বোধ না করছি। সরকারের এ বার জেগে ওঠা উচিত। আরও কঠিন আইন, কঠিন শাস্তি প্রয়োগ করা উচিত নিরাপত্তা রক্ষার জন্য। আমাদের বিচার চাই। এখনই চাই।”
আরও পড়ুন : আরজি কর কাণ্ডের জের! বন্ধ হয়ে গেল রচনার ‘দিদি নাম্বার ওয়ানে’র অডিশন
আরও পড়ুন : ওভার অ্যাক্টিংয়ে রচনাকেও ছাড়িয়ে গেলেন! আরজি কর প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণাকে ধুয়ে দিল নেটপাড়া
অন্যদিকে একই প্রসঙ্গে শ্রীলেখা মিত্রও সৌরভের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “সরি টু সে সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ আমি সত্যিই দুঃখিত যে, তোমাকে মানুষ যেভাবে, তোমার দাদাগিরি, তোমার ক্রিকেট, তোমাকে মহারাজা, মানুষ তোমাকে যে আসনে বসিয়েছেন। তুমি এটাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলছ? এইসব সোহম হর্লিক্সের পার্টি, তারা বলছে পুলিশ আছে বলেই শহরে মেয়েরা সুস্থ আছে। এই মানুষগুলোকে চেনার এটা মোক্ষম সময় এসে গিয়েছে। যে মানুষগুলোকে আমরা উপরে রেখেছি, তাঁরা মানুষ বলার যোগ্য নয়। তাঁদের টেনে নামিয়ে আনো নীচে।”