Sushmita Sen Gets Honorary Doctorate : স্বাধীনতা দিবসের দিনেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘তালি’ (Taali)৷ রূপান্তরকামী সমাজকর্মী শ্রী গৌরী সাওয়ান্তের কাহিনি এবার ফুটে উঠতে চলেছে রূপোলি পর্দায় ৷ আর সেই চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)৷ তবে ইতিমধ্যেই ‘তালি’ ওয়েব সিরিজের ট্রেলার প্রশংসিত হয়েছে। আর এর মাঝে সুস্মিতার সাফল্যের মুকুটে জুড়লো আরও এক নতুন পালক। সুস্মিতা পেলেন আরও এক বড় সম্মান। তার জন্যই ফের একবার উজ্জ্বল হল বাংলার মুখ।
কঠিন সময়ের মধ্যে যাচ্ছেন বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। মাস কয়েক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে ফিরেছিলেন শুটিংয়ে। তালিতে রূপান্তরকামী গৌরী সাওয়ান্তের চরিত্রে জমিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি।কিন্নরের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বাচনভঙ্গিতেও এনেছেন পরিবর্তন।
তার অভিনয় গুণ কিংবা শিল্পসত্ত্বা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন কারও মনে নেই, তবু গৌরী সাওয়ান্তের চরিত্রে সুস্মিতা কতটা সফল হলেন, তা জানতে অপেক্ষা করতা হবে আরও কয়েকদিন ৷ কারণ আগামী ১৫ আগস্ট থেকে জিও সিনেমায় দেখা যাবে সুস্মিতার ওয়েব সিরিজ ‘তালি’। সুস্মিতা ছাড়াও এই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন নীতীশ রাঠোর, অঙ্কুর ভাটিয়া, ঐশ্বর্য নারকর।
তবে অভিনয়ের পাশাপাশি নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করেছেন তিনি৷ আর এবার বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য সুস্মিতাকে ডক্টর অফ লেটার্স সম্মান জানাল এক প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয় ৷ যদিও এই অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারেননি সুস্মিতা ৷ অভিনেত্রীর হয়ে সম্মান গ্রহণ করেন তার বাবা সুবীর সেন। এদিন ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন নায়িকা ৷ সেখানে দেখা যায় অনুষ্ঠানের কিছু ঝলক ৷
আর তার সঙ্গে নিজের হাতে এ সম্মান নিতে পারেননি সুস্মিতা। তা অডিওবার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রথমেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকতে পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন অভিনেত্রী। জানান, ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত তিনি। আর এই অবস্থায় যাতায়াত করার অনুমতি চিকিৎসকরা দেননি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও শ্রী নারায়ণ মূর্তিকে ধন্যবাদ জানান সুস্মিতা।
View this post on Instagram
আরও পড়ুন : প্রেমে করলেও মেলেনি স্বামীসুখ, এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে ভালবেসে অবিবাহিত থেকে গেলেন সুস্মিতা সেন
এরপরই সুস্মিতা বলেন, “বাবার ভীষণ ইচ্ছে ছিল আমি অনার্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েট হই। জীবন অবশ্য আমার জন্য অন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিল। ১৮ বছর বয়সে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সময় বাবাকে প্রমিস করেছিলাম জীবনের পরীক্ষায় অনার্স নিয়েই গ্র্যাজুয়েট হবো। আজ আমার বাবা আমার হয়ে এই সম্মান নিলেন, আমার চোখের জল বাঁধ মানছে না। সারা জীবন এই স্মৃতি মনে থাকবে।”
আরও পড়ুন : বাঙালি মেয়েকে কাজ দেয়নি বলিউড! মাত্র ২৮ বছরেই কেন অভিনয় ছেড়ে দেন সুস্মিতা সেন?