এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন সুস্মিতা সেন? কী ছিল সেই উত্তর?

কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মিস ইউনিভার্স খেতাব জয় করেছিলেন সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)? ভারতের প্রথম মিস ইউনিভার্স, তাও আবার বাঙালি। ঐশ্বর্য রাইয়ের মত সুন্দরীকে পেছনে ফেলে ১৯৯৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরীর অ্যাওয়ার্ড জয় করেছিলেন সুস্মিতা। কিন্তু শেষ প্রশ্নের দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দিয়ে বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন এই বাঙালি কন্যে।

সুস্মিতার বাবা ছিলেন বায়ু সেনা অফিসার। তিনি যে কখনও মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন এটা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি তার পরিবারে। কিন্তু সুস্মিতার পাশে পেয়েছিলেন তার মাকে। এমনও হয়েছিল প্রতিযোগীদের তালিকায় ঐশ্বর্যের নাম দেখে সুস্মিতা ফর্ম জমা না দিয়েই বাড়ি চলে এসেছিলেন। কিন্তু তার মা তাকে বুঝিয়ে আবার ফর্ম জমা করতে পাঠান। তখন কে জানত, এই মেয়ের ভাগ্যে কী লেখা আছে?

SUSHMITA SEN

স্মার্ট এবং সুন্দরী সুস্মিতা সেন বরাবরই ভীষণ বুদ্ধিমতি। মিস ইউনিভার্সের প্রতিযোগিতা মঞ্চে সেই বুদ্ধিকেই কাজে লাগিয়েছিলেন সুস্মিতা। সেরা ১০ থেকে সেরা ৬ তে উঠে আসতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাকে। ইন্টারভিউ রাউন্ডে তাকে প্রশ্ন করা হয়, “সময় এবং সুযোগ থাকলে কোন অ্যাডভেঞ্চার করতে চাইবেন আপনি?” এর উত্তর দিয়েই বিচারকদের মন জয় করে নেন সুস্মিতা।

সুস্মিতা বলেন, “আমার কাছে অ্যাডভেঞ্চার মানে হলো এমন কিছু যা আমি মন থেকে উপভোগ করি। আর বাচ্চারা জীবনে অনেক এডভেঞ্চার নিয়ে আসে। আমার কাছে সময় এবং অর্থ থাকলে আমি যদি কিছু করতে পারতাম আমি নিপীড়িত শিশুদের জন্য কিছু করতাম বলবো না। প্রত্যেক শিশুই সমান। আমি বাচ্চাদের জন্য কিছু করতে চাইব, তাদের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে আনন্দ করতে চাইবো।”

SUSHMITA SEN

এরপর ফাইনাল রাউন্ডে আরও একটি প্রশ্ন করা হয় সুস্মিতাকে সেটাই তার ভাগ্য নির্ধারণ করেছিল। তাকে প্রশ্ন করা হয়, “আপনার কাছে নারী হওয়ার সারমর্ম কী?” সুস্মিতা এর যে উত্তর দিয়েছিলেন তাতে চমকে গিয়েছিলেন বিচারকরা। আর সেই কারণেই বাকি সব সুন্দরীদের পেছনে ফেলে ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী মুকুট ছিনিয়ে নেন সুস্মিতা।

আরও পড়ুন : অভিনয়ের আড়ালে দেহব্যবসা! বাথরুম থেকে উদ্ধার ১২ লাখ, অভিনেত্রীর কীর্তি শুনলে ছিঃ ছিঃ করবেন

Sushmita Sen`s Beauty Secrets

আরও পড়ুন : আত্মহত্যা নাকি খুন, মহুয়া রায় চৌধুরীর মৃত্যুর রাতে ঠিক কী হয়েছিল?

সুস্মিতা নারী হওয়ার সারমর্ম বলতে উত্তর দেন, “একজন নারী হওয়াই ঈশ্বরের আশীর্বাদ যা আমাদের সকলের কদর করা উচিত। একজন শিশুর জন্ম হয় মায়ের থেকে যিনি একজন নারী। যত্ন নেওয়া, ভালোবাসা কী তা একজন নারীই পুরুষকে দেখাতে পারে। সেটাই নারী হওয়ার সারমর্ম।” সুস্মিতার এই উত্তরের পর আর তাকে ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী হিসেবে বেছে নিতে সময় লাগেনি বিচারকদের।