দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের কেরিয়ারে অনেক চড়াই-উৎরায়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) -কে। বলিউডে তার কেরিয়ার শুরু হয়েছিল চূড়ান্ত স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে। বহুবার নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে তবে তিনি নিজের জন্য ছিনিয়ে নিতে পেরেছিলেন জায়গা। তারপর তিনিই হয়ে ওঠেন বলিউড (Bollywood) -র প্রথম বাঙালি সুপারস্টার।
তবে এই মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই একসময় মারাত্মক অভিযোগ তোলেন আরেক বাঙালি অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। মিঠুনের বিরুদ্ধে তাকে নোংরাভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল একটি ছবির শুটিং সেটে। ২০০৬ সালের ওই ছবি ‘চিঙ্গারি’ (Chingaari) -র শুটিং নিয়ে দুই বাঙালি অভিনেতার মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে।
আসলে একটি ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করার সময়ে হয়েছিল এই গন্ডগোল। মিঠুন এবং সুস্মিতাকে ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল। তাদের অভিনয়ে কিন্তু ভীষণ খুশি হয়েছিলেন পরিচালক। তার মতে এটা ছিল একদম বাস্তবসম্মত অভিনয়। পরিচালক যেমনটা চেয়েছিলেন ঠিক তেমনটাই করেছিলেন মিঠুন। কিন্তু এতে সুস্মিতা ভীষণ রেগে যান।
সুস্মিতার অভিযোগ ছিল এই দৃশ্যে অভিনয় করার সময় মিঠুন তাকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেছেন। এতে তিনি এতটাই অস্বস্তিতে পড়ে যান যে তাকে সেট ছেড়েই বেরিয়ে যেতে হয়েছিল। পরে পরিচালকের কাছেও মিঠুনের নামে অভিযোগ করেন সুস্মিতা। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। তাকে বলা হয়েছিল সবটাই তার মনের ভুল ছিল।
তবে মিঠুন এবং সুস্মিতার এই বিতর্কের খবর চাপা থাকেনি। দুজনকে নিয়ে তখন বলিউডের অন্দরে কানাঘুষো চলতে থাকে। সুস্মিতাও বুঝতে পারেন বিতর্কের আঁচ বাড়তে দেওয়া যাবে না। তিনিই মিঠুনের সঙ্গে সবকিছু মিটমাট করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কাজেই সেই যাত্রায় বিতর্ক থেকে রক্ষা পান মিঠুন।
আরও পড়ুন : সত্যিই কি বিয়ে করেছিলেন শ্রীদেবী-মিঠুন? কেন ভেঙেছিল তাদের সম্পর্ক?
তবে এরপরে কিন্তু মিঠুন আর সুস্মিতার সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করেননি। ওই একটি ঘটনা ছাড়া মিঠুনের আর কোনও সহ-অভিনেত্রী কখনও তার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তোলেননি। সুস্মিতার কেরিয়ার বলিউডে সেভাবে এগোতে পারেনি। ২০১৫ সালের বাংলা ছবি ‘নির্বাক’ এর পর তাকে আর কোনও ছবিতে অভিনয় করতে দেখাও যায়নি।
আরও পড়ুন : ‘টাকার জন্য বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছেন বাবা!’ মুখ খুলতেই চমকে দিলেন মিঠুন-পুত্র মিমো