কত বড় হয়েছে সুদীপ মুখার্জীর মেয়ে? দেখুন কেমন দেখতে হয়েছে তাকে

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বহু তারকা একাধিকবার বিয়ে করেছেন। সুদীপ মুখার্জীও (Sudip Mukherjee) তাদের মধ্যে একজন। তার প্রথম স্ত্রীর নাম দামিনি বেণী বসু। ৮ বছরের বৈবাহিক জীবন ছিল তাদের। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে ৭ বছরের মেয়েকে মায়ের কাছে রেখে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন সুদীপ। তারপর তিনি বিয়ে করেন তার বর্তমান স্ত্রী পৃথাকে (Preetha Chakraborty)। যার সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য ২৫ বছর। তবে এখনও প্রথম স্ত্রী এবং মেয়ের সঙ্গে কিন্তু সুদীপের সম্পর্ক খুবই ভালো।

Sudip Mukherjee's wife Benny Bose and Daughter
Sudip Mukherjee’s wife Benny Bose and Daughter

সুদীপ এবং দামিনীর মেয়ে চিনি সদ্য ১৮ বছরে পা রেখেছেন। মেয়েকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সুদীপ সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন, “যৌবনে পা দিলে, স্বাগত জানাই তোমায়, কিন্তু আমার কাছে সেই ছোট্ট পুঁচকেই থাকবি। যাকে প্রথমবার কোলে নিয়েছিলাম। পিতৃত্ব কী সেটা তোর কাছেই প্রথম শেখা। আমার ভালোবাসা। আমার বিশেষ মানুষ। সবসময় তোকে ভালবাসি।”

২০১৩ সালে যখন দামিনী এবং সুদীপের বিচ্ছেদ হয় তখন তাদের মেয়ের বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর। দামিনী এরপর একাই মেয়েকে মানুষ করেন। আর সুদীপ পৃথার সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করেন। তাদের বিয়েটা হয়েছিল ২০১৫ সালে। একটি নাচের অনুষ্ঠানে পৃথার সঙ্গে সুদীপের প্রথম দেখা হয়। তারপর সেখান থেকে তাদের ফেসবুকে আলাপ হয়। ধীরে ধীরে আলাপ বাড়ে। বয়সের অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১০ বছর একসঙ্গে কাটিয়েও ফেলেছেন তারা। তাদের দুই ছেলের একজনের বয়স ৮ বছর অন্যজনের বয়স ৬ বছর।

সুদীপের দ্বিতীয় পক্ষের দুই ছেলে ঋদ্ধি এবং বালির সঙ্গেও চিনির সম্পর্ক খুবই ভালো। নিজের জন্মদিনে দুই ভাইকে নিজের হাতে খাইয়েও দিয়েছে চিনি। আর পৃথার সঙ্গেও দামিনীর সম্পর্ক খুবই ভালো। আপাতত দুই ছেলে, পোষ্য এবং পৃথাকে নিয়ে সুদীপের সংসার। আর সেই সঙ্গে মেয়েও আছে তার জীবন জুড়ে।

আরও পড়ুন : প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে হাঁটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে! সুদীপ মুখার্জির প্রথম স্ত্রী কে ছিলেন?

আরও পড়ুন : বিয়ের আগেই প্রেগন্যান্ট? কেন সন্তানধারণের খবর লুকিয়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী?

একবার একটি সাক্ষাৎকারে দামিনীর সঙ্গে ডিভোর্স প্রসঙ্গে সুদীপ বলেন, ‘আজ মানুষ নিজের মতো করে স্বাধীন। বিশেষ করে যদি সে জানে, তার পায়ের তলার মাটি শক্ত। মা-বাবার যে ঝগড়াটা কদিন পর শান্ত হয়ে যেত, এখন এটাই বাড়তে বাড়তে চূড়ান্ত হয়ে যায়। আমি আর বেণী ওই কারণে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা ভয় পেতাম বেশিদিন একসঙ্গে থাকলে ওই পারস্পরিক সম্পর্কটা ক্ষতি হবে। মেয়ের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চাইনি আমরা কখনো। সেটা এখনও আছে। আমি ওকে সম্মান করি, কারণ ও আমার মেয়ের মা।”