ডায়লগই সার! শিলনোড়াতে বাটনাও বাটতে পারেনা খুকুমণি, প্রকাশ্যে এলো ভিডিও

শত্রুদের পেঁপে দিয়ে চেপে, শিলনোড়ার বেটে, হামানদিস্তায় ছেঁচে, চাটুতে সেঁকে পাঁচ মিশালি ঘন্ট বানিয়ে দেয় খুকুমণি (Khukumoni)! অথচ বাস্তব জীবনে সে নাকি রান্নার ‘র’ জানেই না। রান্না করা তো দূরের কথা, শিলনোড়াতে মশলাও বাটতে পারেনা খুকুমণি। শেষমেষ নেটিজেনদের কাছে ধরা পড়ে গেলেন দীপান্বিতা রক্ষিত। ইউটিউবে ‘ভিল ফুড’ (Villfood) চ্যানেলের ঠাকুমার সঙ্গে রেঁধে দেখাতে গিয়ে চরম ট্রোল হতে হলে তাকে।

ইদানিং ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’র খুকুমণি ওরফে দীপান্বিতা রক্ষিত (Dipanwita Rakshit) বিভিন্ন ইউটিউব (Youtube) চ্যানেলে ফুড ব্লগারদের কাছে গিয়ে রান্না করছেন। তার মধ্যে থেকে ‘ভিল ফুড’ চ্যানেলের ঠাকুরমা পুষ্পরানী সরকার (Pushparani Sarkar) এবং তার পুত্রবধু কবিতা সরকারের সঙ্গে ইউটিউবে খুকুমণির ইলিশ মাছ রান্নার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে খুকুমণির রান্নার একাধিক খুঁত ধরে বের করেছেন নেটিজেনরা।

ইউটিউবে পুষ্পরানি এবং কবিতার সঙ্গে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাক ও ইলিশ ভাপা রান্না শেখাচ্ছিলেন খুকুমণি। নেটিজেনরা অবাক বিস্ময়ে দেখেন রান্নার আগে ভালো করে ইলিশ মাছ ধোওয়া হলো না, মাছের গায়ে লেগে রইলো রক্ত। এদিকে খুকুমণি যে শিলনোড়া নিয়ে এত ডায়লগ দেয় সেখানেও রয়েছে গলদ। নিজের হাতে শিলনোড়াতে সরষে বাটতে গিয়ে কেলেঙ্কারি বাঁধালো খুকুমণি! আদতে শিলনোড়াতে বাটনা বাটতেই পারেন না দীপান্বিতা।

খাদ্য রসিক বাঙালির একেবারে মনের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে খুকুমণি হোম ডেলিভারি। শাপলা চিংড়ি, পাঁচমিশালী ঘন্ট, সবজি ভাত, ডিম ভাত, মাংস ভাত সবই মেলে খুকুমণি হোম ডেলিভারিতে। রান্না নিয়ে গর্ব খুকুমণির। অথচ বাস্তবে বাটনাটাও ঠিক করে বাটতে পারে না সে! খুকুমণির কান্ড দেখে নেটিজেনদের চোখ উঠলো কপালে।

তবে নেটিজেনদের একাংশ কিন্তু এক্ষেত্রে দীপান্বিতার দোষ দেখতে নারাজ। তাদের মতে ধারাবাহিকে দীপান্বিতা শুধুই অভিনয় করেন। অতএব তিনি রান্না পারেন কি না পারেন, সেই নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যথা নেই তাদের। তাই আপাতত ‘ভিল ফুড’ এর বিখ্যাত পুষ্পরানি ঠাকুমার হাতের রান্নায় মজেছেন নেটিজেনরা। এদিন খুকুমণির জন্য মুরগির ঝোল এবং চাটনীসহ নানা পদ রেঁধেছিলেন পুষ্পরানি ও তার পুত্রবধু কবিতা। খুকুমণি বলেন, ঠাকুমা তাকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন। সামনেই রাজপুত্তুরেরর সঙ্গে খুকুমণির বিয়ে! কাজেই আইবুড়োভাতটা ঠাকুমার কাছেই খেয়ে গেলেন খুকুমণি।