বলিউডে (Bollywood) মিঠুন-শ্রীদেবীর জুটি আজও সুপার হিট দর্শকদের কাছে। শ্রীদেবী (Sridevi) ছিলেন তার সময়ের সবথেকে সুন্দরী নায়িকা। শুধু সৌন্দর্য্যের নিরিখেই নয়, নাচ এবং অভিনয়ের বিচারেও তৎকালীন সময়ে দর্শকদের কাছে তিনিই ছিলেন এক নম্বর নায়িকা। তবে বলিউডের এই সুন্দরী অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা। বিশেষত তার প্রেমিকের (Sridevi’s 4 Lovers From Bollywood) দীর্ঘ লিস্ট নিয়ে আলোচনা আজও বড় কম হয় না।
শ্রীদেবী যখন অভিনয় জগতে পা রাখেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৪ বছর। শিশু অভিনেত্রী হিসেবে শুরু হয় তার কেরিয়ার। খুব তাড়াতাড়িই তিনি সুনাম অর্জন করে নিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে হিন্দিতে নয়, শ্রীদেবী প্রথম অভিনয়ে পা রেখেছিলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি মারফত। শ্রীদেবীর বয়স যখন কৈশোর ছুঁয়েছে ঠিক তখনই তৎকালীন দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসানের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান তিনি।
শ্রীদেবী এবং কমল হাসানের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রিতে মজে যেতেন দর্শকরা। পর্দায় তাদের দেখলে মনে হত বাস্তবেও যেন তাদের মধ্যে সম্পর্ক দানা বাঁধছে। এই খবর শুধু জল্পনার পর্যায়েই ছিল না, শোনা যেত শুটিং সেট থেকে মাঝেমধ্যেই নাকি উধাও হয়ে যেতেন নায়ক-নায়িকা। মাকে একপ্রকার না জানিয়ে এই কমল হাসানের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন শ্রীদেবী। তবে মেয়ের কীর্তিকলাপ মায়ের কানে যেতেই সম্পর্কটা সেখানেই থেমে যায়।
তবে শ্রীদেবী খুব বেশিদিন একা ছিলেন না। কমল হাসানের পর মিঠুন চক্রবর্তী সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সর্বাধিক চর্চা হয়েছিল সেই সময়। প্রথম প্রথম বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দুজনের আলাপ হয়। তারপর একসঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতে করতে জমে উঠে প্রেম। মিঠুন-শ্রীদেবীর প্রেম তখন ছিল বলিউডের হট টপিক। শোনা যায় তারা নাকি লুকিয়ে বিয়েও করেছিলেন।
তবে যোগিতা বালিকে আগেই বিয়ে করেছিলেন মিঠুন। তাই শ্রীদেবীর সঙ্গে প্রেম থাকলেও তা পরিণতি পায়নি কখনও। মিঠুন-শ্রীদেবীও তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করতেন না। এরপর আচমকাই একদিন তাদের বিয়ের সার্টিফিকেট ফাঁস হয়ে যায়। তখন মিঠুন একপ্রকার বাধ্য হয়ে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। আর শ্রীদেবী বলেন তিনি মিঠুনের প্রথম বিয়ের কথা জানতেন না। জানলে সম্পর্কে এগোতেনই না।
কমল হাসান এবং মিঠুনের পর জিতেন্দ্রর সঙ্গে শ্রীদেবীর সম্পর্কে নিয়ে আবার গুঞ্জন শুরু হয় বলিউডের অভ্যন্তরে। তারাও দুটি বেঁধে বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন। এমনকি শুটিংয়ের সময় তারা নাকি হোটেলের একই রুমে থাকতেন বলেও জানা গিয়েছে। জিতেন্দ্র অবশ্য সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তবে শ্রীদেবী অস্বীকার করেন সবকিছু।
এরপর শ্রীদেবীর জীবনে আসেন বনি কাপুর। শ্রীদেবীর জীবনের এক সময় যখন আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল তখন তার পাশে থেকেছিলেন বনি। বনি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও শ্রীদেবীর প্রেমে পড়েছিলেন। এমনকি তাদের সহবাসের ফলে বিয়ের আগেই শ্রীদেবী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। এই খবর জেনে তড়িঘড়ি প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি। তারপর দুই কন্যা সন্তান নিয়ে আজীবন বনির সঙ্গে সুখেই সংসার করেন শ্রীদেবী।