গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনে খাতায়-কলমে কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) স্ত্রী হয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj)। সামাজিক বিয়েটা বাকি এখনও। যদিও আগামী ৬ ই মার্চ সেটাও মিটে যাবে। তাদের বিয়ের খবর নিয়ে এখন শোরগোল চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠিক এরই মধ্যে কাঞ্চনকে বিয়ের পর তার মনোভাব প্রকাশ করলেন শ্রীময়ী। ঠিক কী কী বলেছেন তিনি? জানুন।
কখনও দাদা-বোন, কখনও সিনিয়র-জুনিয়র, কখনও আবার শুধুই বন্ধু! কিছুদিন আগে পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্কটাকে এভাবেই নানাভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি ব্যানার্জীর সঙ্গে কাঞ্চন মল্লিকের ডিভোর্সটা হওয়ার পরপরই সমস্ত বাধার আগল ভাঙল। ডিভোর্সের এক মাসের মাথাতেই শ্রীময়ী হলেন কাঞ্চনের ‘মিসেস’। কিন্তু তাতেও নাকি আক্ষেপ রয়েছে কাঞ্চন-পত্নীর।
হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার কাছে বিয়ের পরের অনুভূতি প্রকাশ করেন শ্রীময়ী। তিনি বলেন এখনও নাকি তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না যে তিনি বিবাহিত। তা টেনশন হচ্ছে সামাজিক বিয়ে নিয়ে। আত্মীয়-স্বজনদের ঠিকভাবে আপ্যায়ন করতে পারবেন কি না সেই চিন্তা চেপে বসেছে মনে।
কাঞ্চন মল্লিককে বিয়ে করে আক্ষেপ শ্রীময়ীর
শ্রীময়ী বলেছেন তার আক্ষেপ, তিনি যদি আরেকটু আগে কাঞ্চনকে নিজের করে পেতেন! স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের দীর্ঘ ব্যবধানটাকেই নাকি তিনি সমর্থন করেন। কাঞ্চন তাকে স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে বাবার মত আগলে রাখবেন, এটাই তার স্বপ্ন। তবে এর বাইরেও কিন্তু আরেকটা আক্ষেপ রয়েছে শ্রীময়ীর।
শ্রীময়ী ছোটবেলা থেকেই বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ, জা সবাইকে নিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলেন। কাঞ্চনকে বিয়ে করার পর তিনি দাদা-বৌদি, ননদ-জা সবাইকেই পেয়েছেন। তবে খালি থেকে গেল শ্বশুর-শাশুড়ির জায়গাটা। কাঞ্চন মল্লিকের বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে বহু আগে। তাই শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে সংসার করা হয়ে উঠল না তার।
আরও পড়ুন : কাঞ্চনের থেকে কত ছোট শ্রীময়ী? বয়সের পার্থক্য শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন
আরও পড়ুন : হাঁটুর বয়সী মেয়েদের কীভাবে আকৃষ্ট করে কাঞ্চন? শুনে নিন স্ত্রী পিঙ্কির মুখেই
শ্রীময়ীর কথায়, শ্বশুর-শাশুড়ির বাড়িতে থাকাটা খুবই জরুরী। কারণ তারা অভিভাবকের মত। কাঞ্চনের বাড়িতে তাদের সংসার হবে কেবল স্বামী-স্ত্রী দুজনের। আর শ্রীময়ীর পরিবারে সকলেই রয়েছেন। তার দাদুর বয়স ৯৫ বছর। নাতনিকে বিয়ে করবেন বলে দাদুর কাছে আগেই অনুমতি চেয়ে রেখেছিলেন কাঞ্চন। এখন শুধু শুভ দিনের অপেক্ষা।