আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন বারবার। এবার তার ফল হাতেনাতে পেলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। সরাসরি তার বিরুদ্ধে নেওয়া হল পদক্ষেপ। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় এবার একের পর এক কাজ বেরিয়ে যাচ্ছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের হাত থেকে।
সরকারের স্তুতি না করায় এর আগেও শ্রীলেখার হাত থেকে বহু কাজ বেরিয়ে গিয়েছে। ছবি হামেশাই হাতছাড়া হয়। রিয়েলিটি শো থেকেও বাদ পড়ে যান শেষ মুহূর্তে। আর এবার দু-দুটো ভালো পারিশ্রমিকের বিজ্ঞাপন হারালেন শ্রীলেখা। তাকে সরাসরি বলা হয়েছে আরজিকর কান্ডে শ্রীলেখার বক্তব্য তার বিরুদ্ধে গিয়েছে। তিনি সরকারের বিরোধিতা করেছেন তাই, তাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে।
আনন্দবাজারে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অনেকের অনেক বক্তব্য। প্রায় রোজই কেউ কিছু না কিছু বলছেন। আমি একটু বেশিই জোরালো প্রতিবাদ করেছি। অবশেষে তার ফলাফল পেলাম। দু-দুটো বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছিলেন এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির যিনি প্রতিনিধি তিনি আমাকে পছন্দ করেন। চেয়েছিলেন, কাজটা আমিই করি। কিন্তু তাঁরও তো কোথাও বাধা রয়েছে। বললেন, “দিদি, আরজি কর-কাণ্ডে তোমার বক্তব্য তোমার বিরুদ্ধে গিয়েছে। তুমি সরকারের বিরোধিতা করেছ। তোমাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে।” দুটো কাজ থেকেই ভাল অঙ্কের পারিশ্রমিক পেতাম।”
তবে এতকিছুর পরেও পিছিয়ে পড়ার মেয়ে নন শ্রীলেখা। তিনি সরাসরিই বলেছেন এসব কিছুতে তিনি ভয় পান না। বরং এতে তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়। তিনি আরও একবার বুঝেছেন আরজিকরের নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি যেটা করেছিলেন সেটাই ঠিক। তার কথায়, ‘‘কোনও কালেই মধু মাখিয়ে কথা বলতে পারি না। বাকিরা যতটা না মনের গভীর থেকে মৃতা চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন, আমার চাওয়া ছিল আরও গভীর। আমার বক্তব্য ছিল পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাংলায় এই দুই পদেই মুখ্যমন্ত্রী আসীন। তা হলে কাকে বলব? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে হবে। সেটাই করেছি।”
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন প্রসেনজিতের ‘মন মানে না’ নায়িকা? দেখুন এখন কেমন দেখতে হয়েছে তাকে
আরও পড়ুন : সত্যিই কি প্রেমে পড়েছিলেন ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ? গোপন সিক্রেট ফাঁস করলেন ঋতুপর্ণা
অভিনেত্রী আরও বলেছেন, “আজ আমি পরিচালক হলে এমন অভিনেতা বাছাই করতাম যিনি আক্ষরিক অর্থেই সৎ ব্যক্তি। তা হলেই আমার বিজ্ঞাপন বেশি বিশ্বাসযোগ্য হত। কারণ, জনতা সেই বিশ্বাসযোগ্য মুখ দেখে জিনিস কেনার ভরসা পেত। আমার মতো করে তো সবাই ভাববেন না। অনেকে বলেন, এত বিতর্ক, এত বিরোধিতা যখন, তখন একটু কম কথা বললেই তো হয়। আমি পারব না। এই বয়সে এসে নিজেকে বদলানো সম্ভব নয়। তা ছাড়া, মাথা নোয়াতে শিখিনি। তাই আমার মতো করেই চলব।”