ভারতের ক্রিকেট দুনিয়ার ইতিহাসে যদি সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকেন, তাহলে সৌরভ পত্নী ডোনা গাঙ্গুলী (Dona Ganguly) নৃত্যের মঞ্চের একজন উজ্জ্বল তারকা। সারাদেশ তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও ডোনা গাঙ্গুলীর নাচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। এতকিছুর পরেও কিন্তু ডোনা গাঙ্গুলীকেও শুনতে হয়েছে নাচুনে শব্দটি। কেমন লাগে কথাটি শুনতে? সম্প্রতি আজ তাক বাংলাকে ডোনা জানালেন নিজের প্রতিক্রিয়া।
সৌরভ গাঙ্গুলীর পত্নী ডোনা গাঙ্গুলী সারা বিশ্বে নাচের প্রোগ্রাম করলেও তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণ লাজুক এবং চুপচাপ। খুব একটা কথা বলতে শোনা যায় না তাকে। সম্প্রতি আজ তক বাংলাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ডোনা গাঙ্গুলী নাচ থেকে সন্তান সব বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন। বলেছেন মানুষের কটাক্ষের সম্মুখীন হলে কিভাবে নিজেকে শান্ত করে রাখেন।
রিয়ালিটি শোয়ের গায়ক গায়িকাদের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এখন একটি অনুষ্ঠানে বিজয়ী হলেই সবাই নিজেকে বিশাল বড় গায়িকা বা নৃত্যশিল্পী মনে করেন। কিছুদিন পরেই তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না কারণ একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হওয়ার জন্য যে কঠিন পরিশ্রমের দরকার সেটা তারা করে না।
ব্যক্তিগতভাবে ডোনা চান সব সময় নিজের স্টুডেন্টদের প্রতিষ্ঠিত করতে তার জন্য হয়তো কোন কোন সময় তাকে কঠিন হতে হয় কিন্তু তিনি যে শিক্ষা তাদের দিতে চান, সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েই অনেকেই আজ বিদেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে এত বড় গায়িকা কেউ একসময় শুনতে হয়েছে নাচুনে কথাটি। দাদার স্ত্রী নাকি নাচুনে এই কথাটি শুনে ঠিক কি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ডোনা?
আরও পড়ুন : সৌরভ গাঙ্গুলীকে ভালবেসে অবিবাহিতা থেকে গেলেন এই বলিউড অভিনেত্রী
ডোনা বলেন, এইরকম কোন বিদ্রুপ প্রতিক্রিয়া আমার উপর কোন ছাপ ফেলতে পারে না কারণ আমি মনে করি আমাদের ভারতবর্ষের সংগীত বা নৃত্য ভীষণ উচ্চমানের। অনেকের সেটা বোঝার ক্ষমতা থাকে না। যাদের থাকে না তারাই এমন কথা বলে, কিন্তু সেই সমস্ত কথা গায়ে মেখে কোন লাভ নেই। সবারই নিজস্ব একটা ক্লাস থাকে, তাই পথ চলতি যে কোন মানুষের কথায় কর্ণপাত করে তাকে ব্লক করা শুধু মাত্র বোকামি ছাড়া কিছু নয়।
আরও পড়ুন : সৌরভ গাঙ্গুলীর স্ত্রীর কাছে নাচ শিখতে চান? জেনে নিন ডোনার নাচের স্কুলের ফিজ
ডোনা এত বড় নৃত্যশিল্পী কিন্তু সানা কেন নাচ করতে চায় না জিজ্ঞাসা করায় ডোনা বলেন, প্রথমদিকে ও নাচ করতে আগ্রহী হলেও পরবর্তীকালে পড়াশোনার চাপে ও নাচ করতে চাইতো না। আসলে নাচের প্রতি যদি ভালোবাসা কারোর থাকে তাহলে নিশ্চয়ই সে সেটা করবে। কাউকে জোর করে কিছু করানো যায় না তাই আমি আমার সন্তানকে কোন কিছুতেই জোর করি না। এখন ও পড়াশুনা এবং চাকরি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। আমরাও তাতেই খুশি।