একদিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে অমিতাভ বচ্চন। দুজনেই ২ ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। বলিউড এবং টলিউডে দুজনেরই উত্থান প্রায় একই সময়ে। সেই সময়ও মুম্বাইয়ের তারকারা কলকাতায় আসতেন বাংলা সিনেমায় কাজ করতে। আবার বাঙালি শিল্পীরা মুম্বাই যেতেন বলিউডে কাজ করবেন বলে। উত্তম কুমারও বলিউডে পা রেখেছিলেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতেও এসেছিল সেই সুযোগ। তবে তার একটা ভুল সিদ্ধান্ত তাকে বলিউড স্টার হওয়া থেকে আটকে দিল। শুধু তাই নয় তার জায়গা নিয়ে অমিতাভ বচ্চন হয়ে গেলেন সুপারস্টার।
৭০ এর দশকে পরিচালক ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের আনন্দ সিনেমাটির নাম নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন আপনি? বলিউডের অন্যতম সেরা সিনেমা এটি। এখানে রাজেশ খান্না এবং অমিতাভ বচ্চন অভিনয় করেছিলেন। তবে জানেন কি এই সিনেমার জন্য ডাক্তারের ভূমিকায় পরিচালকের কিন্তু প্রথম পছন্দ ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়? অমিতাভ বচ্চনের জায়গায় সৌমিত্রকেই দেখতে পাওয়া যেতে পারত। কিন্তু না করে দেন সৌমিত্র।
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় অনেক চেষ্টা করেছিলেন এই সিনেমার হাত ধরে তিনি সৌমিত্রকে বলিউডে প্রবেশ করাবেন। কিন্তু সৌমিত্র রাজি হলেন না। আসলে ওই সময় টলিউডের তার বেশ কিছু কাজের চুক্তি ছিল। এর থেকেও বড় ব্যাপার ছিল এই যে তিনি বলিউড সুপারস্টার রাজেশ খান্নার সঙ্গে একই ছবিতে অভিনয় করতে চাননি। আর তার এই সিদ্ধান্ত অমিতাভ বচ্চনের ভাগ্য বদলে দিল। ওই সময় তিনি বলিউডে স্ট্রাগল করছিলেন। আনন্দ সিনেমা তার জীবন বদলে দেয়।
আরও পড়ুন : স্ত্রীকে ত্যাগ করেছিলেন! রাজেশ খান্নার ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি কে পেল?
আরও পড়ুন : স্বামী অমিতাভকে অপমান! উচিত জবাবে রাজেশ খান্নার মুখ বন্ধ করে দেন জয়া
এই সিনেমা থেকে অমিতাভ এবং রাজেশ খান্নার জুটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। পুরস্কার পেয়েছিলেন অমিতাভ। অন্যদিকে এর জন্য পরে আফসোস হয় সৌমিত্রর। কিন্তু তখন আর তার কিছু করার ছিল না। যদিও এরপরেও কিন্তু সৌমিত্র আরও দুবার সুযোগ পেয়েছিলেন বলিউডে পা রাখার। কলিযুগ এবং পিঙ্ক সিনেমার প্রস্তাব এসেছিল তার হাতে। কিন্তু তিনি আর বলিউডে পা রাখার কথা ভাবেননি।