বৃষ্টিতে ভিজে খুল্লামখুল্লা রোমান্সে মত্ত নায়ক-নায়িকা! বাংলা সিরিয়াল দেখে লজ্জায় মুখ ঢাকছে দর্শকরা

জি বাংলা এবং স্টার জলসার পাশাপাশি আরও একটি জনপ্রিয় চ্যানেল হল কালার্স বাংলা (Colours Bangla)। এই মুহূর্তে কালার্স বাংলার সব থেকে পুরনো মেগা ধারাবাহিকের নাম হলো ‘সোহাগ চাঁদ’ (Sohag Chand)। সোহাগ এবং চাঁদের ভূমিকায় অভিনয় করছেন লিড তারকা অন্বেষা চক্রবর্তী (Anwesha Chakraborty) এবং অভিষেক বীর শর্মা (Abhishek Veer Sharma)। গত এক বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে এই ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হচ্ছে কালার্স বাংলায়। এবার ধারাবাহিকে সোহাগ এবং চাঁদকে বলিউড স্টাইলে প্রেম করতে দেখে চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গেছে দর্শকদের, কি বলছেন নায়িকা?

চাঁদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে তাকে বিয়ে দেওয়া হয় সোহাগের সঙ্গে। এই মুহূর্তে সোহাগ এবং চাঁদ একে অপরের সঙ্গে থাকতে চাইছে না তাই ডিভোর্সের মামলা চলছে আদালতে কিন্তু কেন তারা বিচ্ছেদ নিতে চাইছে সেটা উকিলকে বুঝিয়ে বলতে পারছে না তাই বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে ডিভোর্সের ডেট। এর মধ্যেই একে অপরের কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে সোহাগ এবং চাঁদ।

SOHAG CHAND

কিছুদিন আগেই সোহাগকে ভুলবশত চুমু খেতে গিয়ে সোহাগকে নিয়ে ফ্যান্টাসি করতে শুরু করেছে চাঁদ। এই ফ্যান্টাসির দৃশ্যই আমরা দেখতে পাবো রবিনা ট্যান্ডনের টিপ টিপ বরসা পানি গানের স্টাইলে। কোন তন্বী চেহারা নয় বরং প্লাস সাইজের অভিনেত্রী হয়েও কিভাবে সোহাগ নিজেকে ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছেন সেটাই তিনি জানালেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সোহাগ ওরফে অন্বেষা চক্রবর্তী বলেন, “আমি তো দারুন খুশি। রবিনা ট্যান্ডনের আইকনিক ডান্স নাম্বারটা পর্দায় রি ক্রিয়েট করতে পেরেছি এটাই আমার কাছে বড় পাওনা। সাধারণত স্ক্রিনে যারা আইটেম নাম্বার করেন তারা অনেক মার্জিত চেহারার অধিকারী হন কিন্তু একজন প্লাস সাইজ অভিনেত্রী হয়েও যে আইটেম নাম্বার আমি করতে পেরেছি তাতেই আমি গর্বিত।”

SOHAG CHAND

পর্দায় রোমান্স ফুটিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়। অন্বেষাকেও কি তেমনটাই করতে হয়েছে? জিজ্ঞাসা করায় অভিনেত্রী বলেন, “এই গানের শুটে অনেক বোল্ড সিন ছিল যা আমি আগে কখনো করিনি। শাড়ির আঁচল খোলার মত একটি দৃশ্যতেও আমি শুট করেছি। এই দৃশ্যগুলি করতে গিয়ে অনেকবার আঁচল মুখের কাছে উড়ে চলে আসে, আবার কখনো ঠান্ডায় কাঁপুনিও ধরে যায়।”

পর্দায় অভিষেকের সঙ্গে এমন বোল্ড সিন করায় কি কোন আপত্তি করেছিল পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসা করতে অভিনেত্রী বলেন, “আমার বাবা মা অনেক আগেই মারা গেছেন। পরিবার বলতে শুধু আমার স্বামী সন্দীপন চক্রবর্তী। আজ আমি যেখানে রয়েছি শুধুমাত্র ওর সাপোটের জন্যই। আসলে পর্দায় যখন অন্তরঙ্গ দৃশ্য আমরা দেখি তখন অনেক কিছু ভাবি কিন্তু অভিনয়ের সময় পুরোটাই টেকনিক্যালি করা হয়। কতটা জড়িয়ে ধরবো বা কোথায় হাত যাবে পুরোটাই রিহার্সাল করা হয় আগে থেকেই।”

আরও পড়ুন : ফের কাটলো মাথার তার, ইশাকে টাইট দেবে পর্ণা! এলো জমজমাট প্রমো

SOHAG CHAND

আরও পড়ুন : একসঙ্গে মারা যাবে জগদ্ধাত্রী-কৌশিকী! নতুন প্রোমো দেখে শোরগোল দর্শকমহলে

কোস্টার অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে অন্বেষা বলেন, “আমরা খুব হাসি মজা করে কাজটা করি। আমাদের মধ্যে বন্ডিং টা ভীষণ স্ট্রং। অভিষেক আমাকে সেই কমফোর্ট দেয় বলেই স্ক্রিনে আমরা আমাদের প্রেম দেখাতে পারি। আমি তো ওকে মজা করে বলি, তোর সঙ্গে আমি যতটা ইন্টিমেট, অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে নই।” বলেই হাসতে শুরু করেন অন্বেষা।