৮০-র দশকের বলিউডের (Bollywood) অন্যতম সেরা সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন পারভিন বাবি (Parveen Babi)। তার রূপে মুগ্ধ ছিলেন গোটা দেশ থেকে শুরু করে বলিউড সেলিব্রেটিরাও। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডের আকাশে তারকা হিসেবে ফুটে উঠেছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ের একজন সফল অভিনেত্রী। তবুও শেষ বয়সে নিঃসঙ্গতায় খুবই করুণ পরিণতি হয়েছিল তার।
পারভিন বাবির জীবনে নাম, যশ, অর্থ, খ্যাতির অভাব ছিল না কোনও। বলিউডে পা রাখার পর অনেক বড় বড় তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেই তিনি মোট ১৫ টি ছবিতে অভিনয় করেন। বলিউডের সেলিব্রিটি তারকাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সম্পর্কেও জড়িয়েছিলেন পারভিন। তার প্রেমিকের তালিকায় ছিলেন ড্যানি ডেনজংপা থেকে শুরু করে কবীর বেদী ও মহেশ ভাট।
বলিউডের এমন একজন সফল অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও পারভিন মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। স্কিৎজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০০৫ সালের ২০ শে জানুয়ারি তার ফ্ল্যাট ভেঙে উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রীর পচে গলে যাওয়া লাশ। মৃত্যুর ৩ দিন আগে তিনি শুধু মদ ছাড়া আর কিছুই খাননি। অর্গান ফেলিওরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসকরা।
পারভিন বাবি মারা যাওয়ার পর তার ফ্ল্যাটটিকে বিক্রি করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছেন সকলে। মুম্বাইয়ের জুহু বিচের ধারে অবস্থিত ১৫ কোটি টাকা দামের এই বিলাসবহুল বাড়ি কিনতে চাইছেন না কেউ। যদিও এমন একটি জায়গাতে এরকম একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার ক্রেতার অভাব হয় না।
পারভিন বাবির ১৫ কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল বাড়ি আজও ফাঁকা পড়ে আছে। এই বাড়ি কেনা তো দূরের কথা ভাড়াও নিতে চান না কেউ। যদি কেউ ভাড়া নিতে চান তাহলে তাকে মাসে শুধু ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে। ওই এলাকাতে এমন একটি ভাড়াবাড়ি মিলছে খুবই সস্তায়। কিন্তু তবুও ফাঁকা পড়ে আছে সেই ফ্ল্যাট।
আসলে অভিনেত্রীর শেষ পরিণতি যেরকম মর্মান্তিকভাবে হয়েছিল সেটা ভেবেই আর কেউ ফ্ল্যাট কেনা কিংবা ভাড়া নেওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সেই সঙ্গে নাকি ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়েও কিছু সমস্যা আছে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৪ সালে একজন ক্রেতা অবশ্য পারভিনের ফ্ল্যাট কেনার জন্য এগিয়েছিলেন। কিন্তু ফ্ল্যাটে এসে ওঠার পরপরই তিনি পরিবার নিয়ে ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান।
