৭০ এর দশকে বলিউডের (Bollywood) অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। এই বলিউডি অভিনেত্রীর শিকড় রয়েছে বাংলাতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) পরিবারের মেয়ে তিনি। বলিউড এবং টলিউডে অভিনয় করে তিনি বংশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু গোল বেঁধেছে নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির (Mansoor Ali Khan Pataudi) সঙ্গে তার বিয়েকে কেন্দ্র করে।
১৯৬৮ সালে পতৌদি বংশের নবাব তথা ক্রিকেট দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় মনসুর আলী খান পতৌদির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন শর্মিলা। একপ্রকার সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তাকে। যে কারণে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। তবে একসঙ্গে দীর্ঘদিন সুখে সংসার করেছেন তারা।
২০১১ সালে মারা যান নবাব পতৌদি। আর শর্মিলা ঠাকুর এখন ছেলে-বৌমা, মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনিদের নিয়ে সুখে সংসার করছেন। নবাবকে বিয়ে করতে গিয়ে তার নামও পরিবর্তন করতে হয়েছিল। কিন্তু নবাবের প্রতি প্রেম থেকে সবটাই স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। শর্মিলা সম্প্রতি তাদের প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে।
শর্মিলা বলেন মনসুর আলি খান পতৌদি তাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্যারিসে। সেদিন গোটা শহর স্বাধীনতার আনন্দে মেতে উঠেছিল। ওইদিন ভিড়ের মাঝে হাঁটু গেড়ে বসে নবাব তাকে মিষ্টি করে জিজ্ঞেস করলেন, “আমায় বিয়ে করবে?” শর্মিলা প্রথমটা শুনতে পাননি। ওখানে তখন প্রচুর শব্দ হচ্ছিল। তাই গলা উঁচিয়ে মনসুর আবার জিজ্ঞেস করেন শর্মিলা তাকে বিয়ে করবেন কিনা।
শর্মিলা অবশ্য না করতে পারেননি। মনে মনে তিনিও পছন্দ করতেন পতৌদি নবাবকে। অভিনয় ছাড়াও ক্রিকেটের প্রতি তার বেশ আগ্রহ ছিল। মনসুরকে বিয়ের আগে তিনি ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য এম এল জয়সিংহের ভক্ত ছিলেন। তার বাবা-মাও ক্রিকেট পছন্দ করতেন। শর্মিলা বলেন ব্রিটিশ উচ্চারণে ইংলিশ বলতে পারতেন তার স্বামী। সেটাও তাকে আকৃষ্ট করে।
মনসুরের সেন্স অফ হিউমার খুব ভাল ছিল। নিজে জোক বলে নিজেই হাসতেন। তাকে প্রথম দেখাতেই যে শর্মিলার মনে প্রেম জেগেছিল তেমনটা নয়। কিন্তু তিনি মনসুরকে দেখে বুঝেছিলেন তিনি তাকে কখনও কষ্ট দেবেন না। তার মনে হয়েছিল তিনি মনসুরকে ভরসা করতে পারেন। সেখান থেকেই তাদের ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।