বলিউডের (Bollywood) কাপুর পরিবার এবং পতৌদি নবাব বংশ, এই দুই পরিবারেরই অনেক নামডাক রয়েছে। দুই পরিবার আবার বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ। করিনা কাপুরের (Kareena Kapoor) সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সইফ আলি খানের। কাপুর বংশের রাজকন্যা এখন নবাব বংশের রাজবধূ। সেই সঙ্গে তিনি সেইফ আলি খানের দুই সন্তানের মাও বটে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য করিনার উপর বেজায় খাপ্পা। তার প্রথম কারণ, তিনি হিন্দু হয়ে মুসলিম পরিবারে বিয়ে করেছেন। তবে এর থেকেও বেশি যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে করিনাকে সব থেকে বেশি সমালোচনার শিকার হতে হয় সেটা হল সন্তানদের নামকরণ। করিনা তার দুই সন্তানের নাম রেখেছেন তৈমুর (Taimur Ali Khan) এবং জাহাঙ্গীর।
ছোট ছেলে জেহর নামকরণ নিয়ে অবশ্য বড় একটা আপত্তি নেই সোশ্যাল মিডিয়ার। কিন্তু সইফ এবং করিনার বড় সন্তান তৈমুরের নাম রাখা হয়েছে ইতিহাসের এক স্বৈরাচারী রাজার নামে। তৈমুর লংয়ের নামে সন্তানের নাম রাখা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় করিনাকে।
একা করিনা নন, এক রত্তি তৈমুরকেও নিশানা বানানো হয় নেট পাড়াতে। এমনকি নেটিজেনদের একাংশ এও বলেছিলেন যদি করিনা মারা যেতেন তাহলে ভাল হত। তাহলে তৈমুরের জন্মই হত না। এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন সেইফের মা শর্মিলা ঠাকুর। তিনি নিজেও হিন্দু হয়ে আজ থেকে বেশ কয়েক দশক আগে নবাব বংশের বউ হয়ে এসেছিলেন।
শর্মিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন তিনি গোটা জীবনেও এতটা সমস্যা দেখেননি যতটা তৈমুরের জন্মের পর হতে দেখেছেন। সাধারণ মানুষদের মধ্যে কেউ কেউ চেয়েছিলেন করিনা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনি যদি তৈমুরের জন্মের আগে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতেন তাহলে তৈমুরের জন্ম হত না বলে দাবিও করেছিলেন কেউ কেউ।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই মনোভাব শর্মিলাকে অবাক করেছিল। তার কথায়, “আমি ভাবলাম এরা কি সত্যি মানুষ? মানুষ কীভাবে এরকম কথা মনেও আনতে পারে। একটা একদিনের সদ্যজাতের ক্ষতি চাইতে পারে?” শর্মিলা আরও বলেন, “নিজের জন্য ভয় পাইনি। শুধু মনে হয়েছিল এটা কোন দুনিয়া? আর এই লোকগুলোই বা কারা? সমাজের সকলকে খুশি করা সম্ভব নয় তাই নিজেকে ভাল রাখা জরুরী। অন্যের প্রেসক্রিপশন মেনে চললে নিজের ফোকাস, জীবনের ইচ্ছে সব জ্বলাঞ্জলি দিতে হয়”।