৯ বছর পর দুর্ধর্ষ কামব্যাক সনম তেরি কসমের, কত আয় করল?

সালটা ছিল ২০১৬। হর্ষবর্ধন রানে এবং পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাওরা হোসেনের সনম তেরি কসম মুক্তি পায় সেই বছরই। তবে সেই সময় বক্স অফিস কালেকশনের নিরিখে খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি এই সিনেমা। সিনে সমালোচকদের বিচারেও সিনেমাটি ছিল অ্যাভারেজ। তবে দর্শকদের রায়ই যে শেষ কথা, সেটা আরো একবার প্রমাণ হয়ে গেল এই সিনেমার রি-রিলিজের পর। নয় বছর পর এই বছরে আবার সিনেমা হলে মুক্তি পায় সনম তেরি কসম। কিন্তু এই দফায় সিনেমাটির আয় আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

সাফল্যের মাইলফলক ছুঁলো সনম তেরি কসম

এই বছরের ৭ই ফেব্রুয়ারি লাভিআপ্পা, ব্যাড অ্যাশ রবি কুমারের মত দুটি নতুন সিনেমা এবং ইন্টারস্টিলার ও পদ্মাবতের রি-রিলিজের সঙ্গে এই সিনেমাটাও মুক্তি পায়। কিন্তু নতুন বা পুরনো, সব সিনেমাকে ছাপিয়ে ব্যাপক আয় করেছে সনম তেরি কসম। এমনকি পদ্মাবত এবং ইন্টারস্টিলারের মতো সিনেমা, যেগুলো নিজেদের সময়ে মুক্তির সমান ছিল ব্লকবাস্টার হিট, সনম তেরি কসমের কাছে এই দফায় গোহারা হেরেছে।

Sanam Teri Kasam

কত টাকা আয় করল সনম তেরি কসম?

রি-রিলিজে মুক্তির পর প্রথম দিনেই ৫.১৪ কোটি টাকা আয় করে ফেলেছিল সিনেমাটি। আর দ্বিতীয় দিনের শেষে ছবিটির আয় হয়েছিল ৯.৫ কোটি টাকা। মাত্র দু’দিনে এই সিনেমাটি এখন যা আয় করে ফেলেছে তা নয় বছর আগের মোট বক্স অফিস কালেকশনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় ১০ বছরের পুরনো একটি প্রায় ফ্লপ সিনেমার প্রতি এত বছর বাদেও দর্শকদের এমন করে ভালোবাসা দেখে রীতিমতো অবাক সকলে।

আরও পড়ুন : ৫২ বছরেও অবিবাহিত! কার প্রেমে পড়ে আজীবন বিয়েই করলেন না টাব্বু?

Sanam Teri Kasam

আরও পড়ুন : কোটি টাকা বেতনের চাকরি ছেড়েছেন অভিনয়ের জন্য! কোন কোন বলিউড অভিনেতা রয়েছেন তালিকায়?

৯ বছর পরে কোন জাদুমন্ত্রে এত সফলতা পেল সনম তেরি কসম?

সনম তেরি কসমের এমন দুর্দান্ত সাফল্য কার্যত সিনে সমালোচকদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। অনেক গবেষণা করে তারা তিনটি পয়েন্টকে তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে প্রথমটি হলো নস্টালজিয়া, দ্বিতীয়টি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার এবং প্রভাব ও তৃতীয়টি ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে নির্ভেজাল রোমান্সের কামব্যাক। নয় বছর আগে যে সমালোচকরা সিনেমাটিকে রীতিমত ফ্লপ ঘোষণা করেছিলেন, আজ তারাই এই সিনেমাটিকে বলিউডের কাল্ট ক্লাসিক রোমান্স খেতাব দিচ্ছেন। ছবির এমন সাফল্য দেখে ইতিমধ্যেই এই সিনেমার সিকুয়েলের ঘোষণা করা হয়েছে। সনম তেরি কসম আরও একবার প্রমাণ করে দিল সিনেমার বিষয়বস্তু যদি ভাল হয় তাহলে দশ বছর পরেও সাফল্য ছিনিয়ে আনতে পারে।