৬০ পেরিয়েও সালমান খানের ফিটনেস মুগ্ধ করে দর্শকদের। কিন্তু অনেকেই যেটা জানেন না সেটা হল দীর্ঘদিন ধরেই কঠিন অসুখে ভুগছেন সালমান খান। অত্যন্ত বিরল রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে একসময় চরম কষ্টে ভুগেছিলেন সালমান। যন্ত্রণা এতটাই হত যে বহুবার নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভেবেছেন। সালমান দীর্ঘদিন ধরে ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া রোগে ভুগেছেন।
কোন বিরল রোগে আক্রান্ত সালমান খান?
এ এক এমন রোগ, যে রোগের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে রোগীরা আত্মহত্যাকে একমাত্র উপায় বলে ভেবে নেয়। তাই অনেকে একে সুইসাইড ডিজিজও বলেন। ট্রাইটেমিনাল হল মানুষের মুখের একটি স্নায়ু। এই স্নায়ুর কাজ অভিব্যক্তিকে মুখে ফুটিয়ে তোলা। যাদের ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া হয় তাদের মাঝে মধ্যে এই চোয়াল, গাল, ঠোঁট এবং নাকে প্রবল যন্ত্রণা হতে শুরু করে। এই যন্ত্রণায় একেবারে ইলেকট্রিক শক লাগার মত কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে প্রচন্ড মাথাব্যথাও থাকে। এক লাখ জন পিছু ১২ জনের শরীরে এই রোগ ধরা পড়ে।
কখনো কখনো এই ব্যথা থেকে ঝাঁকুনি এবং জ্বালাপোড়ার মত অনুভূতি হয়। থেকে থেকেই মুখের একপাশে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হতে থাকে। যার ফলে চিবানো, কথা বলার মত স্বাভাবিক কাজগুলো একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। এই ব্যথা কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে। বারবার ফিরে আসতে পারে একই দিনে। সালমানের কথায় মনে হবে যেন কেউ অনবরত মুখে ঘুষি মেরেই চলেছে।
আরও পড়ুন : ৬৭ তেই প্রাণ হারাবেন শাহরুখ-সালমান! জ্যোতিষীর গণনায় তোলপাড়
আরও পড়ুন : মারণরোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে! কঠিন অসুখে কষ্ট পাচ্ছেন বলিউডের এই ৮ তারকা
সাধারণত এই রোগ ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের বেশি আক্রমণ করে। সালমানের শরীরে এই রোগটি ধরা পড়েছিল ২০০৭ সালে পার্টনার সিনেমার শুটিংয়ের সময়। সালমান তার এই রোগ সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, এই রোগে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। অসহ্য যন্ত্রণা হত, সেসব আমি সহ্য করেছি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, যত যন্ত্রণাই হোক না কেন, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে৷”