চুরি-ডাকাতি কিংবা সইফ আলি খানের উপর হামলা চালানো নয়, কোন পরিকল্পনা নিয়ে সইফের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল বাংলাদেশি হামলাকারী শরিফুল ইসলাম? শরিফুলের আসল উদ্দেশ্য ছিল করিনা কাপুর এবং সইফ আলি খানের ছোট ছেলে জেহ অপহরণ করা। সেই সঙ্গে জেহর জন্য মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায় করে আবার বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া। মুম্বাই পুলিশের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। এই ঘটনা শুনে ফের একবার শোরগোল পড়ে গেল বলিউডে।
শরিফুলকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ৪ বছরের জেহকে পণবন্দী করে এক কোটি টাকা আদায় করতে চেয়েছিল সে। ওইদিন সেইফের বাড়িতে ঢুকেই ৫৬ বছর বয়সী নার্স এলিয়ামা ফিলিপের সামনে পড়ে যায় সে। এলিয়ামাকে দেখেই ১ কোটি টাকা দাবি করে সে ও এলিয়ামা তাকে বাধা দিতে এলে ব্লেড এবং লাঠি নিয়ে এলিয়ামার উপর হামলা করে শরিফুল। এতে এলিয়ামা হাতে এবং কব্জিতে আঘাত পান। তারপর শরিফুল জেহর ঘরের দিকে এগোতে শুরু করে। তখনই জেহর আয়া সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করে দেন।
এদিকে বিপদ বুঝে ছোট্ট জেহ তখনই ঘর ছেড়ে পালায়। ঠিক তখনই সেইফ সেখানে এসে উপস্থিত হন। সইফ এসে শরিফুলকে বাধা দিলে তার ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে এবং কব্জিতে বারবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে শরিফুল। তারপর সইফকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে শরিফুল পালিয়ে যায়। ৮ বছরের তৈমুর তখন বাবাকে নিয়ে অটো ধরে সঙ্গে সঙ্গে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছে যায়। সেখানে প্রথমে আইসিইউতে রাখা হয় সইফকে। তারপর ৫ ঘণ্টার অপারেশন করে তাকে বিপদমুক্ত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন : কীভাবে ধরা পড়লো সইফের হামলাকারী? কেন চুরি করতে গিয়েছিল সে?
আরও পড়ুন : হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন সইফ? কত হল হসপিটাল বিল?
এদিকে ঘটনার পরও কিন্তু ২ ঘন্টা সইফেরই অ্যাপার্টমেন্টের বাগানে লুকিয়ে ছিল শরিফুল। তারপর সে ধীরেসুস্থে পালাই এবং থানেতে গিয়ে একটি জঙ্গলে ঘেরা শ্রমিক বসতিতে আশ্রয় নেয়। যদিও মুম্বাই পুলিশ তিন দিনের মাথায় গ্রেফতার করে হামলাকারীকে। প্রথমে সে নিজেকে কলকাতার বাসিন্দা বলে পরিচয় দিলেও পরে জানা যায় তার কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণই নেই। হামলাকারী বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে জানা যায়।