কীভাবে ধরা পড়লো সইফের হামলাকারী? কেন চুরি করতে গিয়েছিল সে?

অবশেষে হামলা চালানোর তিনদিন পর ধরা পড়লো সইফ আলি খানের হামলাকারী। রীতিমতো নাটকীয় মোড় নিয়েছে সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত। পতৌদি প্যালেসে ডাকাতির চেষ্টা এবং সইফের উপর হামলার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের এক ব্যক্তিকে। রবিবার ভোরে সইফের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি ঝোপের মধ্যে পুলিশ তাকে ধরেছে। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে সে। একের পর এক অবাক করা তথ্য উঠে আসছে এই ঘটনার তদন্তে।

পুলিশের হাতে ধরা পড়ে শরিফুল জানিয়েছে বৈধ কাগজ ছাড়াই সে ভারতে থাকছে। পুলিশের অনুমান সে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। বিগত পাঁচ মাস ধরে এসে বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরে ঘুরে কাজ করছিল। এর আগে ওরলি এলাকায় যে রেস্তোরাতে সে কাজ করছিল সেখানে চুরির অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তাই তার চাকরি চলে যায়। তারপরই সে মুম্বাইতে এসে ডাকাতির ষড়যন্ত্র করে। তবে সে জানতো না যার উপরে সে হামলা চালিয়েছে, তিনি সেইফ আলি খান। পরে সে জানতে পারে জনপ্রিয় অভিনেতার উপর আক্রমণ চালিয়েছে সে। এরপরই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে শুরু করে শরিফুল।

Saif Ali Khan's Attacker

এদিকে পুলিশ এই ঘটনার পর শরিফুলকে ধরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং ফেস রিকগনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাকে চিহ্নিত করা হয়। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি মুম্বাই মেট্রোরেলের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক বসতিতে থাকছিল। দাদর রেলস্টেশনের বাইরে তিনবার দেখা গিয়েছিল তাকে। এক ঠিকাদারের কাছে কাজ চাইতে ওরলি কলিওয়াড়ায় গিয়েছিল সে। সেই ঠিকাদারই পুলিশকে তার সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। তারপর থানের শ্রমিক বসতি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন : কতটা মারাত্মক সেইফের অবস্থা? কতদিনে সুস্থ হবেন তিনি?

Saif Ali Khan's Attacker

আরও পড়ুন : হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন সইফ? কত হল হসপিটাল বিল?

পুলিশ জানিয়েছে যে এলাকায় লুকিয়ে ছিল শরিফুল সেই জায়গাটি ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। সে পুলিশকে জানিয়েছে হাতে কাজ ছিল না বলেই সে চুরির সিদ্ধান্ত নেয়। সে জানতো না কার বাড়িতে ঢুকছে। হামলার দিনই সে প্রথম ওই বাড়িতে ঢুকে ছিল। সিঁড়ি ভেঙে এবং এসির পাইপলাইন বেয়ে সে উপরে ওঠে। মুম্বাই পুলিশের ডিসিপি দীক্ষিত গেদম জানিয়েছেন শরিফুলের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ পত্র নেই। তাই পুলিশের অনুমান ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। যদিও শরিফুলের উকিলের দাবি তার মক্কেল যে বাংলাদেশী এমন কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। এমনকি শরিফুলের বিরুদ্ধে হত্যা বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ‌ও পুলিশ আনতে পারেনি।