গত ২ বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ডিং রয়েছে সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) এবং ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) প্রেমের কাহিনী। তবে গত ২০ দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধু একটিই প্রশ্ন ঘুরছে, কতটা ভালবাসলে তবে সব্যসাচী চৌধুরী হওয়া যায়? সব্যসাচীর ভালোবাসাই একমাত্র ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের পথের শক্তি ছিল। গত ৭ বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে প্রতিমুহূর্তে তিনি অনেক শারীরিক কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু তার মানসিক কষ্ট এক ফোঁটাও ছিল না।
ঐন্দ্রিলা নিজেই দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে একবার সে কথা নিজের মুখ ফুটে বলেছিলেন। দ্বিতীয়বার যখন ক্যান্সার ফিরে এসেছিল তার শরীরে তখন তাকে একটা বড় অপারেশন করাতে হয়েছিল। সে অপারেশনে তার ফিরে আসা সম্ভাবনা ছিল অনেক কম। তবুও যুদ্ধ জয় করে ফিরেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের কেমোর পর চোখ খুলে তিনি যখন সব্যসাচীকে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তখন অদ্ভুত প্রশান্তি পেয়েছিলেন মনে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে শারীরিক এবং মানসিক অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। ঐন্দ্রিলার শারীরিক কষ্টটা ছিল প্রবল, কিন্তু তার পাশে একটা মানুষ সব সময় শক্ত করে হাত ধরেছিলেন। যিনি তাকে মানসিক কষ্ট পেতে দেননি। তিনিই সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর সব্যসাচীর চারপাশটা শূন্য হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে নিজেকে ফেসবুক থেকে সরিয়েছেন অভিনেতা। এবার নিলেন আরও এক বড় সিদ্ধান্ত।
আসলে সোশ্যাল মিডিয়াতে সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার অনেক স্মৃতি ছড়িয়ে আছে আজ। ঐন্দ্রিলার শেষ পোস্ট ছিল সব্যসাচীকে নিয়েই। অক্টোবরের সেই পোস্টে সব্যসাচীর হাসিমাখা ছবির সঙ্গে ভালবাসার ইমোজি জুড়ে তিনি লিখেছিলেন ‘আমার বেঁচে থাকার কারণ’। ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর সব্যসাচীরও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা যেন ফুরিয়েছে।
কেমন আছেন সব্যসাচী? তার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গিয়েছে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর একেবারেই চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন তিনি। খুব একটা কথা বলছেন না কারও সঙ্গেই। তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন। মাঝেমধ্যে ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুঁদঘাটের বাড়িতে যাচ্ছেন। ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টাও করছেন। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন না এখনও। কিন্তু নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছেন না।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই রবিবার দুপুর ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট উড়িয়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। এবার ইনস্টাগ্রাম থেকেও বিদায় নিলেন তিনি। সামাজিকভাবে নিজেকে যেন বিচ্ছিন্ন করে নিতে চাইছেন তিনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে এরপর আর কখনও কিছু লিখবেন না। কারণ যাকে নিয়ে তিনি লিখতে শুরু করেছিলেন, সেই ঐন্দ্রিলাই তো এখন আর নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে তাই সব সম্পর্ক একেবারে ঘুঁচিয়ে দিলেন সব্যসাচী।