বর্তমানে স্টার জলসার (Star Jalsha) অন্যতম সেরা একটি সিরিয়াল হল মেয়েবেলা (Meye Bela)। প্রধানত নারীকেন্দ্রিক এই সিরিয়ালটিতে রূপা গাঙ্গুলী (Roopa Ganguly) নায়িকার শাশুড়ি মায়ের ভূমিকাতে অভিনয় করছেন। তার অভিনীত এই চরিত্রটির মধ্যে কিছুটা নেগেটিভ শেডস আছে। স্নেহময়ী শাশুড়ি মা হয়ে নয়, আবার দজ্জাল শাশুড়িও নয়, রূপার অভিনীত বিথী চরিত্রটিকে কুটিল বলা চলে।
এমনই একটি চরিত্র নিয়ে বহু বছর বাদে আবারও বাংলা ছোট পর্দায় ফিরেছেন রূপা গাঙ্গুলী। তবে অভিনয়ে ফেরার ক্ষেত্রে তার বেশ কিছু শর্ত ছিল। এই শর্তগুলি মেনে নিয়েই রূপা গাঙ্গুলীর মত একজন দক্ষ অভিনেত্রীকে আবার তার নিজস্ব জগতে ফিরিয়ে এনেছেন মেয়েবেলা সিরিয়ালের নির্মাতারা।
বাংলা সিরিয়ালে শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়া ঝামেলা নতুন কিছু নয়। কিন্তু মেয়েবেলা সিরিয়ালের বিথী এবং মৌয়ের মধ্যে সম্পর্কের সমীকরণটা বেশ জটিল। ছেলে এবং বৌমা দুজনের কাছেই ভাল থেকে তাদের দুজনকে একে অপরের থেকে আলাদা করে দেওয়ার জন্য ঠান্ডা মাথায় কুট বুদ্ধি বের করেই চলেছে বিথী। এই চরিত্রটিকে নিখুঁত অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন রূপা।
স্বভাবতই দর্শকদের মনের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে এমন একটি চরিত্রের জন্য রূপা গাঙ্গুলি ঠিক কত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন? যদিও তার অভিনীত এই চরিত্রটিতে রূপার অভিনয় দেখে দর্শকরা কিঞ্চিত বিরক্তি প্রকাশ করেন। তাকে অনেকটা নেশাগ্রস্তের মত লাগে বলে দাবি করেন কেউ কেউ। তবে দর্শকদের প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও তো অভিনেত্রীদের জীবনের বড় প্রাপ্তি।
তবে শুধু দর্শকদের থেকে এমন প্রতিক্রিয়াই নয়, সেই সঙ্গে ‘মেয়ে বেলা’র বিথী চরিত্রটির জন্য রূপা গাঙ্গুলী বেশ মোটা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ছিল তার বেশ কিছু শর্ত। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার শর্ত ছিল গল্পটা বাস্তবসম্মত হতে হবে। অন্দরসজ্জার পর্দার বেগনি চড়া রং থাকবে না। অতিরঞ্জিত কিছু থাকবে না।”
রূপা গাঙ্গুলী এর আগে অপর্ণা সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণ ঘোষদের মত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাই তিনি চেয়েছিলেন টিভিতেও তার চরিত্রটিকে যেন বাস্তবসম্মত দেখায়। এমন একটি চরিত্রের জন্য তিনি ৯ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন মাসে। তাও আবার মাসে কেবল ১৫ দিনই শুটিং করবেন বলে শর্ত দিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী হলেন রূপা গাঙ্গুলী।
