‘অন্যের রান্নাঘরে সেক্স করেছি’, ঋতাভরী চক্রবর্তীর কান্ডকারখানা জানলে চোখ উঠবে কপালে

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty) আজ শুধু বাংলা ছবির নায়িকা নন, বাংলার পাশাপাশি বলিউড ছবিতেও অভিনয় করছেন তিনি। টলিউডের অন্যতম সাহসী অভিনেত্রী বলা যেতে পারে তাকে। বাস্তব জীবনেও তিনি কিন্তু ভীষণ বোল্ড। ভীষণ সোজাসাপটা কথা বলতে পছন্দ করেন তিনি। আবার যৌনতা নিয়েও তার ছুঁতমার্গ নেই।

এমনিতে যৌনতা নিয়ে টলিউড অভিনেত্রীরা সেভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চান না। কিন্তু ঋতাভরী খোলামেলাভাবেই একবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে তার যৌন জীবন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি একবার একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি মনে করেন শরীরের খিদেও মনের খিদের মতই।

RITABHARI CHAKRABORTY

নুসরাত জাহানের সঞ্চালনায় একটি চ্যাট শোয়ের সম্প্রচার হত একসময়। সেখানে টলিউডের বিভিন্ন তারকারা উপস্থিত হতেন এবং নুসরাতের সঙ্গে মজার আড্ডায় মেতে উঠতেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে ঋতাভরী সেক্স প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, “আমার মতে শরীরের খিদেটাও মনের খিদে। কারওকে ভেতর থেকে এতটা চাইছি যে নিজের সঙ্গে এক করে নিতে কোনও দ্বিধা থাকছে না”।

এরপর তিনি আরও বলেছেন, “সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল কম্প্যাটিবিলিটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।” পুরুষের কী দেখে তিনি আকৃষ্ট হন? উত্তরে ঋতাভরী বলেন, ‘‘বুদ্ধিদীপ্ততা। আমি স্যাপিওসেক্সুয়াল। তাছাড়া চশমা পরা ব্যক্তিদের সেক্সি লাগে। ইটস বিজার”। যৌনতা প্রসঙ্গে এরপর আরও এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।

RITABHARI CHAKRABORTY

অভিনেত্রী জানান তিনি প্রথম ডেটে অচেনা এক ব্যক্তিকে চুমু খেয়েছিলেন একসময়। এমনকি ক্যাজুয়ালি হুক আপ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এরপর তিনি বলেন বহুবার যে তিনি এরকমটা করেছেন এমন নয়। তবে যা কিছু হয়েছে সেটা না হলে তিনি খুশি হতেন।

এরপর নিজের মোস্ট অ্যাডভেঞ্চারাস সেক্সের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন অন্যের রান্নাঘরে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। তার কথা শুনে চমকে ওঠেন নুসরাত। তিনিও পাল্টা প্রশ্ন করেন কিছু ভেঙে যায়নি? উত্তরে অবশ্য চুপ ছিলেন ঋতাভরী। এইসব অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়েন অভিনেত্রী।

RITABHARI CHAKRABORTY

সমাজে আজও যেভাবে সেক্স নিয়ে ট্যাবু রয়েছে সেই প্রসঙ্গে ঋতাভরী বলেন, “আমি অনেক মেয়েকে দেখেছি যারা একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে নিজেকে এঁটো মনে করেন। আমরা কেউই খাবার নই। সে মেয়ে হোক বা ছেলে।”