আর জি করের তরুণী চিকিৎসক হত্যা এবং ধর্ষণ কান্ডের জেরে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সমগ্র বিশ্বজুড়ে। তারকা থেকে সাধারণ, সকলেই বিচার চাইছেন। এই মর্মে ১৪ ই আগস্ট রাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন অভিনেতা কৌশিক সেন এবং তার পুত্র ঋদ্ধি সেন। পরদিন সকালে অর্থাৎ ১৫ ই আগস্ট নিজেরই এক সহ অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের (Madhumita Sarcar) বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন ঋদ্ধি।
স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে মধুমিতা সরকার সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি ভারতের পতাকার ব্লক প্রিন্টের সাদা রঙের চুড়িদার ও সাদা ওড়না পরে ছিলেন এ দিন। মুখে ছিল হালকা মেকআপ। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি বেশ কিছু ছবি তুলে শেয়ার করেন। তবে ক্যাপশন লিখতে গিয়ে গন্ডগোল করে ফেলেন। সেখানে তিনি দিবস, প্রার্থনা এবং ভারতবর্ষ বানান ভুল লিখে বসেন। আর এটাই নজরে পড়েছে ঋদ্ধির।
মধুমিতা ক্যাপশনে লেখেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবেস একটি প্রার্থণা, নিঃশ্বাসটুকু যেন স্বাধীন ভাবে নিতে পারি আমাদের ভারতবর্শে।’’ মধুমিতার এই পোষ্টের স্ক্রিনশট তুলে রীতিমতো খোঁচা মেরে ঋদ্ধি লেখেন, ‘‘স্বাধীনতা ‘দিবেস’ ????? ভারতবর্ষ বানান লিখতে জানে ?? ঘেন্না ধরে গেল ন্যূনতম লজ্জা, শিক্ষা আর বোধ মুছে গিয়েছে এই বিনোদন জগতের বহু কর্মীর মধ্যে থেকে। রক্তে মাখা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পেরিয়ে আজ ৭৮তম বছরে পৌঁছেও রক্তের দাগ মুছে ফেলা যাচ্ছে না , যে রাজ্যে এক চিকিৎসকের সাদা পোশাক ভেসে গেল রক্তে, সেই রাজ্যে এদের মতো অশিক্ষিত ব্যক্তি সাদা পোশাক পরে ওড়না উড়িয়ে দন্ত বিকশিত করে ভুল বানানে স্বাধীনতা দিবস পালন করার অভিনয় করছে। এরা কোনও দিনই শিল্পী ছিল না, ছিল না অভিনেতা।”
আরও পড়ুন : আর জি কর কাণ্ডের প্রভাব! বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল সাংসদ দেব
সেই সঙ্গে অভিনেতা আরও লিখেছেন, “অভিনয় শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক সংযোগ, প্রয়োজন শিক্ষা। সমাজ , ইতিহাস, শিক্ষা, এই শব্দগুলো এদের কাছে ভিন্গ্রহী , অভিনয় মানে ভান করা নয়, অভিনয় মানে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সত্যিটাকে খুঁজে বার করা। এরা আমাদের পেশায় কলঙ্ক। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বলার আগে নিজের ভণ্ডামি আর অশিক্ষা থেকে স্বাধীন হন, আমাদের কর্মক্ষেত্রও স্বাধীনতা চায় আপনাদের মতো অশিক্ষিত শিল্পীর কাছ থেকে।’’
আরও পড়ুন : আরজিকর নিয়ে ‘কেঁদেকেটে ওভার অ্যাকটিং’ রচনার! ধুয়ে দিলেন বিরক্ত নেটিজেনরা
তবে মধুমিতা কিন্তু ইতিমধ্যেই তার ভুল সংশোধন করে ফেলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতে। কিন্তু ততক্ষণে তার পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ঋদ্ধিকে সমর্থন জানাচ্ছেন অনেকেই। অভিনেত্রী কিন্তু এই বিষয়ে একেবারেই নীরব।