গার্হস্থ হিংসা থেকে মদ্যপ স্বামীর অত্যাচার! আশা ভোঁসলের বিবাহিত জীবন ছিল খুবই কষ্টের

শুধু বলিউড (Bollywood) নয়, সারা বিশ্বে আশা ভোঁসলের গান বহুল পরিচিত। লতা মঙ্গেশকরের বোন আশা ভোঁসলে শুধু শাস্ত্রীয় বা ভক্তিমূলক গান নয়, বলিউডের একাধিক সিনেমায় ইয়ে মেরা দিল ইয়ার কা দিওয়ানা, হাঙ্গামা হো গেয়া, পিয়া তু আব তো আজা সহ বহু ক্যাবারে গানও গেয়েছিলেন। আজ আমরা জানবো, আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle) -র জীবনের কিছু অজানা কথা (Asha Bhosle Life Story)।

৯০ বছর বয়সী আশা ভোঁসলে ১৯৩৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। চার বোনের মধ্যে সবথেকে ছোট আশা ছোটবেলা থেকেই ভীষণ আদরে বড় হয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আশা ভোঁসলে ৩১ বছর বয়সী গণপত রাওকে বিয়ে করেন এবং তখন থেকেই আশা ভোঁসলের জীবন বদলে যায় সম্পূর্ণভাবে। বাড়ির অমতে বিয়ে করার ফলে লতা মঙ্গেশকর তো বটেই সম্পূর্ণ মঙ্গেশকর পরিবার আশা ভোঁসলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন।

Asha Bhosle

বৈবাহিক জীবন খুব একটা সুখকর জীবন ছিল না আশার। ছেলে হেমন্তের জন্মের পর মঙ্গেশকর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি হয় এবং আশা ভোঁসলে আরো একবার বাপের বাড়িতে আসার সুযোগ পান। তবে বাপের বাড়ির সঙ্গে এই সম্পর্কের উন্নতি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি গণপত রাও। প্রতিনিয়ত আশাকে মারধর করার পাশাপাশি টাকার জন্য জোর করতে শুরু করেন গণপতরাও।

১৯৬০ সালে গার্হস্থ হিংসা সহ্য না করতে পেরে আশা, শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং ফিরে আসেন বাপের বাড়িতে। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের সময় আশা গর্ভবতী ছিলেন এবং তৃতীয় সন্তান আনন্দের জন্ম হয় বিবাহ বিচ্ছেদের কিছুদিন বাদেই। তিনটি সন্তান কিভাবে মানুষ করবেন তিনি, এই নিয়ে যখন চিন্তায় দিন কাটছে আশার ঠিক তখনই তিনি গানের জগতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন আবার।

Asha Bhosle

বৈবাহিক জীবন ছিন্ন করে বেরিয়ে এসে আশা পুরোপুরি নিজেকে নিয়োজিত করে ফেলেন গানের জগতে। তিন সন্তান হেমন্ত, বর্ষা এবং আনন্দকে বড় করার পাশাপাশি তিনি নিজের ক্যারিয়ার সামনে ছিলেন নিপুণভাবে। ভক্তিমূলক গান হোক অথবা বলিউডের কমার্শিয়াল গান ৮০ দশকে আশা ভোঁসলে ছাড়া অন্য কোন গায়িকাকে নিয়ে কাজ করার কথা ভাবতেই পারতেন না পরিচালকরা।

আরও পড়ুন : বিষ দিয়ে খু নের চেষ্টা করা হয় লতা মঙ্গেশকরকে! জানেন কে সেই অপরাধী?

Asha Bhosle

আরও পড়ুন : কাজ নিয়ে শত্রুতা, বন্ধ মুখ দেখাদেখি! আশার কীর্তি মেনে নিতে পারেননি লতা

১৯৮০ সালে আশা ভোঁসলে আর ডি বর্মনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই বিবাহ বেশি দিন টেকেনি। আর ডি বর্মনের অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে আশা ভোঁসলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দ্বিতীয় বার বিবাহবিচ্ছেদের পর আশা ভোঁসলে সারা জীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং নিজেকে পুরোপুরি নিমজ্জিত করে দেন সংগীত আরাধনার মধ্যে।