মাত্র ৪ জনের জন্য ১৩০০ কোটির বাংলো, রামচরণের মোট সম্পত্তির পরিমাণ চমকে দেবে

দক্ষিণী সুপারস্টার (South Indian Film Industry) চিরঞ্জীবীর ছেলে হয়ে নয়, আজ গোটা বিশ্ব রামচরণকে (Ramcharan) তার নিজস্ব পরিচয়েই জানে। শুধু তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি নয়, গোটা দেশ এমনকি গোটা বিশ্বতেই রামচরণের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সারা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে তার। RRR মুক্তি পাওয়ার পর একদিকে যেমন তার ভক্ত সংখ্যা বেড়েছে সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তার আর্থিক সম্পত্তির পরিমাণ।

দক্ষিণের এই অভিনেতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ (Ramcharan’s Net Worth) জানলে চমকে যাবেন। আজ ২৭শে মার্চ, অভিনেতা তার জন্মদিন পালন করছেন। ঠিক এই মুহূর্তেই মিডিয়ার রিপোর্টে উঠে এসেছে রামচরণের মোট সম্পত্তির পরিমাণ। প্রথমেই নজর কাড়ছে অভিনেতার রাজপ্রাসাদের মত বাড়িটি। এই বাড়িতে তিনি, তার স্ত্রী উপাসনা, বাবা চিরঞ্জীবী এবং মাকে নিয়ে থাকেন।

RAMCHARAN NET WORTH

   

প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে তাদের এই বাংলো। এই বাড়ি কোনও রাজপ্রাসাদের থেকে কম নয়। হায়দ্রাবাদের জুবিলী হিলসে রয়েছে এই বিলাসবহুল বাংলো। যার বাহ্যিক এবং অন্দরসজ্জা দেখলে তাক লেগে যাবে। এছাড়া তার কাছে যে বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে সেগুলি মিলিয়ে বেশ কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি হয়ে যাবে।

রামচরনের কাছে অ্যাস্টন মার্টিনের মত দামি ব্রান্ডের গাড়ি আছে। সম্প্রতি তিনি আরও একটি বাড়ি কিনেছেন। যার দাম প্রায় ৯০ কোটি টাকা। বাড়ির মধ্যে মন্দির থেকে শুরু করে টেনিস কোর্ট, সুইমিং পুল,জিমসহ নানা বিলাসিতার ব্যবস্থা আছে। এবার আসা যাক রামচরণের উপার্জন প্রসঙ্গে। দক্ষিণী এই অভিনেতা সিনেমা থেকে ১২ কোটি টাকা আয় করেন।

RAMCHARAN NET WORTH

আর আর আর ছবির জন্য রামচরণকে ৪৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং পণ্যের বিজ্ঞাপনের জন্য ২ কোটি টাকার কাছাকাছি নিয়ে থাকেন। তিনি পেপসি, টাটা ডোকোমো, ভোলানো, এপোলো জিয়াসহ ৩৪ টি ব্র্যান্ডের প্রচার করেন। ২০২১ সালে ডিজনি প্লাস হটস্টার তাকে অ্যাম্বাসেডর হওয়ার জন্য ৫ কোটি টাকা দেয়।

RAMCHARAN NET WORTH

এছাড়া নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থাও খুলে ফেলেছেন রামচরণ। ২০১৬ সালের কোনিডেলা প্রোডাকশন নামের কোম্পানি খোলেন তিনি। এছাড়া হায়দ্রাবাদের প্রাণকেন্দ্রে ৩৮ কোটি টাকা দামের তার একটি বাড়ি আছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি। তার কাছে ৯ কোটি টাকা দামের রোলস রয়েস ফ্যান্টম আছে। তিনি দেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের মধ্যে অন্যতম একজন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজে তিনি প্রচুর অর্থ দান করে থাকেন।