পকেটে ছিল মাত্র ১৮ টাকা, লাঞ্চের বরাদ্দ শুধু এক প্যাকেট Parle G বিস্কুট। ছোট্ট ঘরে গাদাগাদি করে শুতে হত। সেখান থেকেই আজ বলিউড সুপারস্টার রাজকুমার রাও। আউটসাইডার হয়ে বলিউডের মাটিতে নিজের জন্য জায়গা তৈরি করা কোনও অভিনেতার পক্ষেই সহজ হয় না। বলিউডের এই অভিনেতার বাস্তব জীবনের কাহিনী সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রাজকুমারের স্কুলের মাইনেটুকুও দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। টাকা যোগাতেন শিক্ষকরা। সেই রাজকুমার যখন মুম্বাইতে আসেন তখন তার সম্বল শুধু ১৮ টাকা। শুরু হয় চরম স্ট্রাগল। আধপেটা কিংবা না খেয়েই কেটেছে বহুদিন। কিন্তু বলিউডের নায়ক হওয়াটা ছিল তার জেদ। আর তিনি পাশে পেয়েছিলেন মাকে। ছেলের জন্য যেখান থেকে হোক টাকা যোগাড় করে পাঠাতেন রাজকুমারের মা।
একসময় অডিশন দেওয়ার মত পোশাকও রাজকুমারের ছিল না। একটা ফ্যাকাশে টি শার্ট পরেই একের পর এক অডিশন দিয়েছেন। আর মেকআপ? ওসব কেনার টাকা কোথায়? মুখে শুধু গোলাপজল ছিটিয়েই ক্যামেরার সামনে নিজেকে তরতাজা দেখানোর চেষ্টা করেছেন রাজকুমার। তার আসল ট্যালেন্ট ছিল তার অভিনয়। এত দৈনতার মাঝেও সেটা কখনও চাপা পড়তে দেননি তিনি।
আরও পড়ুন : বলিউডের এই ৯ সুন্দরী ছিলেন রণবীর কাপুরের প্রাক্তন প্রেমিকা
রাজকুমারের প্রথম সিনেমা ছিল ‘লাভ সেক্স অর ধোঁকা’। তবে তার প্রথম ব্রেক ছিল ‘কাই পো চে’। এই সিনেমার পর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক কুইন, সিটিলাইট, বরেলি কি বরফি, স্ত্রী এর মত সিনেমা এসেছে তার ঝুলিতে। আর মুম্বাইয়ের মাটিতে তার একটা আলাদা পরিচয় রয়েছে। শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, নিজের মায়ের স্বপ্নটাকেও সত্যি করেছেন রাজকুমার। রাজার মতই দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন বলিউডে।