ক্লাস টেনে উঠতেই হাতের বাইরে ছেলে! চিন্তায় উড়েছে ঘুম, কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন রচনা

সারা বাংলার মানুষ আজ রচনা ব্যানার্জীকে (Rachana Banerjee) চেনেন। তার কেরিয়ারের শুরুটা হয়েছিল নায়িকা হিসেবে। বর্তমানে তিনি গোটা বাংলার আট থেকে আশি, সকলের কাছে দিদি। রচনা ব্যানার্জীকে যেমন সকলে চেনেন, তেমনই তার ছেলে প্রণীল বসুকেও (Pranil Basu) অনেকেই চেনেন। ছোট্ট প্রণীল মাঝেমধ্যেই মায়ের সঙ্গে সেটে আসতো। এখন অবশ্য সে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।

দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi Number One) বাইরে প্রণীল রচনার অনেকটা বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে। এখন সে ক্লাস টেনের ছাত্র। ছেলে বড় হচ্ছে, সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে বাড়ছে মায়ের চিন্তা। রচনার ছেলে এমনিতে ভীষণ লাজুক, ক্যামেরার সামনে খুব একটা আসতে চায় না সে। টিনেজার ছেলেকে নিয়ে বেশ চিন্তা ঘিরে ধরেছে রচনাকে। তার উপর আবার তার চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিলেন অভিনেতা সোহেল দত্ত।

প্রণীলের এখন প্রেমে পড়ারই বয়স। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে মায়েদের নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কম বয়সী অভিনেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন সায়ক চক্রবর্তী, সোহেল দত্ত, সায়ন্ত, অভিষেক বীর শর্মারা। তাদের নিয়ে মায়েদের সকলের একটাই অভিযোগ, ছেলেদের নাকি একাধিক বান্ধবী রয়েছে। সোহেলের মা জানান সে নাকি ক্লাস ইলেভেন থেকে প্রেম করছে। এসব শুনে তো মাথায় হাত রচনার!

অবশ্য সোহেল জানিয়েছেন বর্তমানে তার জীবনে বিশেষ একজনই রয়েছেন। রচনা তাকে প্রশ্ন করেন, “রাতে ফোনে কথা বলার কী প্রয়োজন? সারাটা দিন তো পড়ে রয়েছে।” সোহেল বলেন সারাদিন সকলেই কাজে ব্যস্ত থাকেন। রাতে সময়টা কথা বলার জন্য পাওয়া যায়। রচনা এরপর সোহেলের মায়ের থেকেই টিনেজার ছেলেকে সামলানোর উপায় জানতে চান।

সোহেলের মা বলেন তিনি অনেক সময় ছেলের ঘরেই তার সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। এতে ছেলেকে চোখে চোখে রাখা যায়। সবসময়ই তারা যেটা বলে সেটা তিনি বিশ্বাস করেন না। কারণ তারা আসলে সত্যিটা ঘুরিয়ে বলে। সোহেলের মা রচনাকে সতর্ক করে বলে দেন তার কঠিন সময় শুরু হচ্ছে এখন। এরপরই সোহেল রচনাকে প্রশ্ন করে, “তোমারও তো ছেলে আছে, প্রেম করে?”

সোহেলের প্রশ্নে চমকে যান রচনা। কারণ তার ছেলে তো খুবই ছোট। সোহেল বলেন, সে হয়তো কাউকে পছন্দ করছে, কিন্তু মায়ের ভয়ে বলতে পারছে না! এরপর রচনা জানান প্রণীল এখন থেকেই বিভিন্ন ছুঁতোয় তার সঙ্গে ঘুমোতে চায় না। সঙ্গে সঙ্গে সোহেল বলে ওঠেন, তার মানেই মনে ফুল ফুটেছে। রচনা আঁতকে উঠে ক্যামেরার দিকে ঘুরে, ছেলেকে হুঁশিয়ারি দেন, “আজ বাড়ি গিয়েই তোমার ফোন চেক করব!” রচনার কাণ্ড দেখে হাসির রোল ওঠে দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে।