প্রথমে টলিউড (Tollywood) তারপর বাংলা টেলিভিশন, সর্বত্রই নায়িকা নাম্বার ওয়ান হয়ে দেখিয়েছেন রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)। নিজের জীবনে তিনি একজন আদর্শ অভিনেত্রী, সেই সঙ্গে আদর্শ মেয়ে এবং মাও বটে। জীবনে ভাল বউ হতে না পারার আফসোস রয়েছে তার মনে। কিন্তু মেয়ে এবং মা হিসেবে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অন্যান্য সম্পর্কগুলোকে আগলে চলেছেন রচনা।
পরপর দু’বার ভেঙেছে সংসার, ছেলেকে নিয়ে এখন একাই জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। ছেলের প্রতি মায়ের দায়িত্ব পালনে কোনও কার্পণ্য কখনও করেননি তিনি। ১৫ বছরের ছেলেকে এখন একা হাতে মানুষ করছেন। কিন্তু সেই ছেলেকে নিয়ে তার উদ্বেগ কাটে না। ছেলে যত বড় হয় মায়েদের চিন্তা ততই বাড়ে। রচনার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে।
রচনার একমাত্র ছেলের নাম রৌনক ওরফে প্রণীল। ছোট থেকে যত বড় হচ্ছে সে ততই যেন মায়ের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। রচনা সেই দিনটার অপেক্ষায় রয়েছেন যেদিন তার ছেলে একটু শান্ত হবে। কিন্তু তার অপেক্ষার অবসান আর হচ্ছে না। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে দুঃখ প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী। জাহির করলেন ছেলেকে নিয়ে তার উদ্বেগ।
কিছুদিন আগেই সেলিব্রিটি স্পেশাল এপিসোড সম্প্রচারিত হয়েছিল দিদি নাম্বার ওয়ানে। এদিন দিদি নাম্বার ওয়ানে উপস্থিত ছিলেন ‘জগদ্ধাত্রী’ সিরিয়ালের সেটের সদস্যরা। এই সিরিয়ালের নায়ক স্বয়ম্ভু ওরফে সৌম্যদীপ মুখার্জী তার মাকে নিয়ে এসেছিলেন। নায়কের মা গল্পের ছলে রচনাকে জানান তার ছেলে আগে অনেক দুষ্টু ছিল। কিন্তু এখন অনেকটাই শান্ত হয়েছে।
এরপরই রচনা তার ছেলের প্রসঙ্গ তোলেন। রচনা প্রশ্ন করেন, ”ঠিক কত বছর বয়স থেকে এমনটা হয় আমি সত্যিই জানতে চাই। আর অশান্তি নিতে পারছি না। ১৫ বছর বয়স হল। আর কি শান্ত হবে ও?” রচনার কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েন সকলে। আসলে ছেলেকে নিয়ে মজার ছলেই কথাগুলো বলছিলেন বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান।
রচনার জীবনে এখন ছেলেই তার সব থেকে কাছের মানুষ। ছেলে যে এখন থেকেই প্রেম করতে পারে এমনটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না তিনি। কিছুদিন আগেই এরকম একটি সেলিব্রিটি স্পেশাল এপিসোডে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমার ছেলের প্রেম আমি ভাবতেই পারছি না। ও তো এখনও ছোট”।