দু-দুবার বিয়েতেও পাননি দাম্পত্য সুখ, কেন ‘ভাল বউ’ হতে পারেননি রচনা? দিলেন জবাব

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee) একসময় ছিলেন বাংলা এবং ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রির নায়িকা নাম্বার ওয়ান। প্রথম জীবনে একাধিক ছবিতে সুপারহিট নায়িকা ছিলেন তিনি। এরপর অভিনয় ছেড়ে তিনি সম্পূর্ণ এক আলাদা জগতে প্রবেশ করলেন। সিনেমার পর্দা ছেড়ে টিভির পর্দায় রচনার নতুন পরিচয় হল দিদি নাম্বার ওয়ান। জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One) রিয়েলিটি শো তাকে এই পরিচয় দিয়েছে।

বাস্তব জীবনেও কিন্তু নিজের সঙ্গে জড়িত সম্পর্কগুলিকে বেশ ভালভাবেই সামলে চলেছেন অভিনেত্রী। মা হিসেবে, মেয়ে হিসেবে তার তুলনা নেই। কিন্তু স্ত্রী হিসেবে রচনা কেমন? জীবনে দুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন এই অভিনেত্রী। ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার সিদ্ধান্ত মহান্তির সঙ্গে তার বৈবাহিক সম্পর্কটা ছিল মাত্র এক বছরের। এরপর তিনি বিয়ে করেন ব্যবসায়ী প্রবাল বসুকে।

Rachana Banerjee And Siddhant Mohanti

তবে প্রবাল এবং রচনার দাম্পত্য বেশিদিন টেঁকেনি। বর্তমানে সেপারেশনে রয়েছেন তারা। ছেলে যাতে মা-বাবা দুজনকেই পায় সেই কথা ভেবে তারা ডিভোর্স নেননি। পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে সফল হলেও ভাল বউ না হতে পারার আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে রচনার মনে। এই প্রসঙ্গে শাশ্বত চ্যাটার্জীর ‘অপুর সংসার’ নামের টক শোতে এসে তিনি মুখ খুলেছিলেন।

একটি এপিসোডে শাশ্বত রচনাকে প্রশ্ন করেন স্ত্রী হিসেবে নিজেকে কত নম্বর দেবেন তিনি? জবাবে নায়িকা সরাসরি বলেন, “আমি নিজেকে শূন্য দেব।” এতে শাশ্বত বেশ চমকে গিয়েছিলেন। পরে তিনি প্রশ্ন করেন রচনা কেন এমন মনে করছেন? তার জবাবে রচনা বলেন কম্প্রোমাইজ করতে পারলে ভাল বউ হওয়া যায়। তিনি সমঝোতা করতে পারেননি, তাই ভাল বউ হতেও পারেননি।

RACHANA BANERJEE AND PRABAL

রচনার কথায়, “আমার মনে সুগৃহিনী হওয়ার জন্য যে গুণ থাকা দরকার তা আমার মধ্যে নেই। সম্পর্কের জন্য অনেক দু’জনকেই অনেকটা সমঝোতা করতে হয়। মানিয়ে নিতে হয়। সেটার কোনওটাই আমি করিনি। আর আমরা যে পেশার সঙ্গে যুক্ত, সে ক্ষেত্রে যে পার্টনার তাঁকেও অনেক কিছু মানাতে হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক এমন না হলে সুন্দর বাড়ি হওয়া বেশ কঠিন।”

RACHANA BANERJEE AND SON PRANIL

রচনা এবং তার স্বামী বহু বছর থেকেই আলাদা থাকেন। তাদের আইনত বিচ্ছেদ হয়নি। ছেলের কথা ভেবেই তারা আইনত সম্পর্কে বিচ্ছেদ চাননি। এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা পূজা পার্বণে রচনা, প্রবাল এবং তাদের সন্তান প্রণীলকে একসঙ্গে দেখা যায়। ছেলে অবশ্য রচনার সঙ্গেই থাকে তবে মায়ের পাশাপাশি বাবার ভালবাসা পেয়েও বড় হচ্ছে সে।