বাবা-মেয়ের চুম্বন! ৩০ বছর পুরনো কেচ্ছার সাফাইয়ে মুখ খুললেন মহেশকন্যা পূজা

Pooja-Mahesh Kiss : বলিউড (Bollywood) -র পরিচালক মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt) ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক হিট ছবি দিলেও, নিজের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বিতর্কের শরিক হয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে একটি বিতর্ক হল নিজের মেয়েকে চুমু খাওয়া এবং অনক্যামেরা তাকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করা। শুনে অবাক লাগলেও, এমনটাই সত্যি হয়েছিল। আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পূজা ভাট (Pooja Bhatt) নিজে।

বিগ বস ওটিটি-এর ঘরের প্রতিযোগী হয়ে সম্প্রতি ফের লাইম লাইটে এসেছেন পরিচালক মহেশ ভাটের বড় মেয়ে পূজা ভাট। একসময় ইন্ডাস্ট্রির বোল্ড অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পূজা। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ড্যাডি ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে পূজার। বাবার হাত ধরেই বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর একের পর এক অন্যধারার ছবির মাধ্যমে পরিচিতি পান। তবে বিতর্ক কখনই তার পিছু ছাড়েনি।

MAHESH BHATT AND POOJA BHATT

১৯৯০ সাল নাগাদ একটি ম্যাগাজিন কভার নিয়ে প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পূজা। দেখা গিয়েছিল, মহেশ এবং পূজা ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বন করছেন। বাবা-মেয়ের চুম্বনের এই দৃশ্য দেখে অনেকেই ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর প্রায় দু’দশক কেটে গেলেও এখনও তারা সমালোচিত হন এই ফোটোশুটের জন্য। কখনও কী আফসোস হয় পূজার? এত বছর পর মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে শাহরুখ খানের প্রসঙ্গও টানেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, “একাবার এই বিষয়ে শাহরুখ আমায় বলেছিল যে, তোমার সন্তান থাকলে বুঝবে, তারা এমনই করে, তারা বাবা-মায়ের থেকে যখনতখন আদর পেতে চায়, চুমু খেতে চায়। আমি সারাজীবন আমার বাবার কাছে এমনই ছোট্ট মেয়ে হয়েই থাকতে চাই, সে আমার বয়স যাই হোক না কেন।”

POOJA AND MAHESH BHATT

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। নিন্দুকদের পাল্টা জবাবও  দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি এব্যাপারে কোনও সাফাই দিতে চাই না। যারা বাবা-মেয়ের পবিত্র সম্পর্ককে অন্য চোখে দেখেন তারা সবকিছু পারেন। তাদের কিছু বলার নেই আমার।এটা তাদের পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় দেওয়া আর কিছু না।”

আরও পড়ুন : এক ভুলেই বলিউড থেকে বের করে দেওয়া হয় জুহি চাওলাকে, করিশ্মা হয়ে যান সুপারস্টার

POOJA AND MAHESH BHATT

আরও পড়ুন : মিস ইন্ডিয়া থেকে শাহরুখের হিরোইন! বলিউড ছেড়ে আজ ৩০০০ কোটির মালকিন এই অভিনেত্রী

পূজা বলেন, “ওই যে মুহূর্তটা ফ্রেমবন্দি করা হয়েছিল, তা ছিল নিষ্পাপ। বাকি যার যা ভাবার তা ভাবতেই পারেন, যা পড়ার তা পড়তেই পারেন এর পরিণাম নিয়ে আমি ভাবিনি। আমি ওই ব্যাপারটা নিয়ে সাফাই দিতে বসিনি আজ, আর যারা বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে অন্য দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখবার চেষ্টা করে তা সবকিছু করতে পারে। তারপর আমরা কথা বলি পারিবারিক আদর্শের, আজব ঘটনা!”