Pakistani Woman With Her Four Children Came In India To Marry An Indian Guy : প্রেম মানে না কোনো বাধা। সিনেমাতেও বটেই, বাস্তবেও এমন উদাহরণের শেষ নেই। এবার ভারতে দেখা গেলো এমন আরেক নজির। অনলাইন ব্যাটেল রয়েল গেম পাবজি (PUBG) খেলতে গিয়ে পাকিস্তানি (Pakistan) সীমা গুলাম (Seema Gulaam) -র সঙ্গে প্রেম হয় সচিন (Sachin) নামের এক যুবকের। আর সেই প্রেমের টানেই কাটাতার পেরিয়ে ভারতে গিয়ে হাজির হয়েছেন সীমা।
২০১৪ সালে পাকিস্তানে তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি গুলাম হায়দরকে বিয়ে করেন। পরে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে কর্মসূত্রে সৌদি আরবে চলে যান গুলাম। পাকিস্তানে সন্তানদের নিয়ে একা একাই দিন কাটত সীমার। আর সেই কারণেই ২০১৯ সাল থেকে তিনি ‘পাবজি’ খেলতে শুরু করেন। আর ‘পাবজি’ খেলতে খেলতে ১১০০ কিমি দূরে নয়ডার বাসিন্দা শচীন সিংহের সঙ্গে আলাপ হয় বছর তিরিশের পাকিস্তানি মহিলা সীমা গুলাম হায়দরের।
প্রতি রাতে শচীন এবং সীমা দু’জনে ৩-৪ ঘণ্টা পাবজি খেলতেন। এ ভাবে তাদের সম্পর্ক আসতে আসতে গভীর হতে থাকে। এরপর গেমের মধ্যেই তারা একে অপরের মোবাইল নম্বর বিনিময় করেন। আর তার পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে হোয়াট্সঅ্যাপে কথা হত। আর তারপর তাদের সেই সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে পরিণতি পাই।
এভাবে একসঙ্গে সংসার পাতার পাকাপাকি ব্যবস্থার কথাও তারা ভাবতে শুরু করেন। অনেক চিন্তাভাবনার পর তারা নাকি সিদ্ধান্ত নেন, সীমা লুকিয়ে ভারতে চলে আসবেন। তবে সীমা সাফ জানিয়ে দেন, সন্তানদের পাকিস্তানে রেখে তিনি যাবেন না। সীমার প্রস্তাবে আপত্তি করেননি শচীনও।
কিন্তু কী ভাবে সীমা ভারতে আসবেন, তা নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করেন তারা।পুলিশ জানিয়েছে, এক জন ট্রাভেল এজেন্ট সীমাকে পাকিস্তান থেকে নেপাল যাওয়ার টিকিট দিয়েছিলেন। তারপর প্রথমে সীমা পাকিস্তান থেকে নেপাল আসেন। এরপর নেপাল থেকে পোখরা হয়ে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সীমা ভারতে পৌঁছন।
আরো পড়ুন : শুধু পাকিস্তান নয়, ভারত ভেঙে ভাগ হয়েছে এই ১১ টি দেশ, জানতেন?
একটি বাসে চেপে নয়ডা চলে আসেন সীমা। শচীন গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। চার সন্তানকে নিয়ে প্রথমে সেখানেই যান সীমা। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে শচীনের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং চার সন্তান-সহ সীমাকে আটক করে।নেপাল হয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য তিনি মোট ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরো পড়ুন : ভারতের নাগরিকই নন, বলিউডের এই ৫ তারকা জন্মসূত্রে পাকিস্তানি