Padma Award 2024 : প্রত্যেক বছরের মত এই বছরেও প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রকাশিত হল পদ্ম অ্যাওয়ার্ড প্রাপকদের নামের তালিকা। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ২০২৪ সালের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকাতে রয়েছেন একাধিক বাঙালি শিল্পী ও তারকা। কেউ পেলেন পদ্মশ্রী (Padma Shri), কেউ পদ্মভূষণ (Padma Bhushan), কেউ বা পেলেন পদ্মবিভূষণ (Padma Vibhushan)। কে কোন পুরস্কার পেলেন এক নজরে দেখুন সেই তালিকা।
পদ্ম পুরস্কার প্রাপ্ত বাঙালিদের তালিকা
পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক শ্রী নেপাল চন্দ্র সূত্রধর
এই বছর মরণোত্তর পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন ছৌ নাচের জন্য মুখোশ তৈরির কারিগর শ্রী নেপাল চন্দ্র সূত্রধর। কর্মসূত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে তার প্রয়াণ ঘটে।
পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক গাছ দাদু
পুরুলিয়ার বাসিন্দা দুখু মাঝি পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। তিনি সাধারণের কাছে গাছ দাদু নামেই পরিচিত। পুরুলিয়ার সিন্দ্রী গ্রামের বাসিন্দা ৭৮ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ গাছ লাগানোকেই তার জীবনের মূল মন্ত্র বানিয়ে নিয়েছেন। পুরুলিয়ার রুক্ষ মাটিতে তিনি ৫ হাজারেরও বেশি গাছ লাগিয়েছেন।
পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক সনাতন রুদ্র পাল
সাবেকি দুর্গা প্রতিমা গড়ার জন্য বেশ সুনাম রয়েছে তার। তিনি হলেন প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী সনাতন রুদ্র পাল। এছাড়াও পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন নারায়ণ চক্রবর্তী, গীতা রায় বর্মন, তাগদীরা বেগম।
পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক রতন কাহার
‘বড়লোকের বিটি লো’ গান বেঁধেছিলেন তিনিই। বাংলার এই বিখ্যাত লোকগানের খ্যাতি আজ গোটা দেশেই রয়েছে। এছাড়াও তিনি অনেক টুসু, ঝুমুর এবং ভাদু লোকগীতি রচনা করেছেন। কিন্তু সেভাবে কখনও তিনি তার যোগ্য সম্মান পাননি। এতদিনে ৮৮ বছর বয়সে তিনি পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার।
পদ্মভূষণ পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী
মিঠুন চক্রবর্তীকে দেওয়া হবে পদ্মভূষণ পুরস্কার। দীর্ঘ কয়েক দশকের অভিনয় জীবনে হিন্দি-বাংলা মিশিয়ে অসংখ্য সুপারহিট সিনেমাতে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও রাজনীতিবিদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় মরণোত্তর পদ্মভূষণ পুরস্কার পাবেন। পদ্মভূষণ প্রাপকদের তালিকাতে নাম রয়েছে সংগীত শিল্পী উষা উত্থুপেরও।
দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে কারা পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার?
এই তালিকাতে নাম রয়েছে অসমের মাহুত পার্বতী বড়ুয়া, ছত্তিশগড়ের যোগেশ্বর যাদব। ঝাড়খণ্ডের চামি মুর্মু, হরিয়ানার গুরবিন্দর সিং, কেরালার কৃষক সত্যনারায়ণ বেলেরি, কর্নাটকের সমাজকর্মী তথা প্ল্যাস্টিক সার্জেন প্রেমা ধনরাজ, মিজোরামের সমাজকর্মী সাংথানকিমা, ছত্তিশগড়ে আয়ুষ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হেমচন্দ মাঞ্ঝি।
আন্দামান ও নিকোবরের কৃষক কে চেল্লামল, কর্নাটকের আদিবাসী সমাজকর্মী সোমান্না, অরুণাচল প্রদেশের হার্বাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইয়ানুং জেমো লেগো, বিহারের চিত্রশিল্পী অশোক কুমার বিশ্বাস, কেরালার নৃত্যশিল্পী বালাকৃষ্ণণ সদানম পুথিয়া ভেটিল, অন্ধ্র প্রদেশের প্রথম মহিলা হরিকথা শিল্পী স্বর মহেশ্বরী, উত্তর প্রদেশের শিল্পী বাবুরাম যাদব, অসমের কৃষক সর্বেশ্বর বসুমাতারি, ওডিশার ১০৫ বছরের সংগীতশিল্পী গোপীনাথ সোয়াইন, ত্রিপুরার শিল্পী স্মৃতিরেখা চকমা, মধ্য প্রদেশের সংগীতশিল্পী ওমপ্রকাশ শর্মা।
এছাড়াও রয়েছেন কেরালার নৃত্যশিল্পী নারায়ণ ই পি, মহারাষ্ট্রের মল্লখাম্ব কোচ উদয় বিশ্বনাথ দেশপাণ্ডে, গুজরাটের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইয়াজদি মানেকশ ইতালিয়া, বিহারের হস্তশিল্পী দম্পতি শান্তিদেবী পাসওয়ান এবং শিবন পাসওয়ান, মণিপুরের মৃৎশিল্পী মাচিহান সাসা, তেলঙ্গানায় অভিনেতা গাদ্দাম সাম্মাইয়া, রাজস্থানেপ বহুরূপা জানকিলাল, তেলঙ্গানায় বীণাবাদক দাসরি কোন্ডাপ্পা, ওডিশার নৃত্যশিল্পী ভগবত পাধান, তামিলনাড়ুর লোকনৃত্য শিল্পী বদ্রপম এম সিকিমের লেপচা হস্তশিল্পী জোর্ডন লেপচা, রোহন বোপান্না।
উত্তর প্রদেশের খলিল আহমেদ, মধ্য প্রদেশের কালুরাম বামানিয়া, বাংলাদেশ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, উত্তর প্রদেশের নাসিম বানু, ছত্তিশগড়ের রামলালা বারেথ, হিমাচল প্রদেশের সোম দত্ত বাট্টু, অসমের দ্রোণ ভুঁইয়া, তেলঙ্গানার এ ভেলু আনন্দ চারি, উত্তর প্রদেশের রামচেত চৌধুরী, ফ্রান্সের শ্যার্লোট চপিন, গুজরাটের রঘুবীর চৌধুরী, তামিলনাড়ুর জো ডি’ক্রুজ, জম্মু ও কাশ্মীরের গুলাম নবি ধর, ত্রিপুরার চিত্ত রঞ্জন দেববর্মা, মহারাষ্ট্রের উদয় বিশ্বনাথ দেশপাণ্ডে।