চাকরি ছেড়ে অন্য ব্যাবসায় নামছে সিদ্ধার্থ! মিঠাইতে আসছে নতুন টুইস্ট

মোদক বাড়ির ছেলে সিদ্ধার্থ মিষ্টি পছন্দ করে না মোটেও। তার পরিবারের কেউ বেশি মিষ্টি খেলেই সুস্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে বকাবকি করে। নিজে তো মিষ্টি খাই-ই না, উপরন্তু মিষ্টি ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে হয়েও সকলকে মিষ্টি খেতে নিষেধ করে। তবে এবার মিঠাই (Mithai) ধারাবাহিকে আসছে এক নতুন মোড়। উচ্ছে বাবুর জীবনে এবার বিরাট এক পরিবর্তন হতে চলেছে। চাকরি ছেড়ে এবার সে নিজের চিরদিনের অপছন্দের মিষ্টির ব্যবসাতেই নামবে!

বর্তমানে সিদ্ধার্থ বেকার। অফিসে প্রতিনিয়ত তোর্সার সঙ্গে তার মনোমালিন্য চলছে। সিদ্ধার্থকে অপদস্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছে সে। তার হাত থেকে একের পর এক দায়িত্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে। তোর্সার শয়তানিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছে সিদ্ধার্থ। তাই সে আর চাকরি করবে না বলেই ঠিক করেছে। যেই ভাবা সেই কাজ। তোর্সার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে হতে অফিসে তার মুখের উপর অফিস আইডি কার্ড ছুঁড়ে মারে সিদ্ধার্থ। চাকরিতে ইস্তফা দেয়। এতে আরও রেগে যায় তোর্সা।

বাড়িতে এসে মিঠাইয়ের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে তোর্সা। তবে সিদ্ধার্থ অবশ্য রুখে দাঁড়ায় তোর্সার বিরুদ্ধে। মুখের উপর তোর্সাকে শয়তান বলে দেয় সিদ্ধার্থ! সাম্প্রতিক পর্বে এই পর্যন্তই দেখানো হয়েছে দর্শকদের। তবে চমক অপেক্ষা করে রয়েছে আসন্ন পর্বে। হোলি স্পেশাল প্রোমো হিসেবে মিঠাইতে যে ঝলক প্রকাশ পেয়েছে সেখানে ধারাবাহিকে এক নতুন মোড় আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে মোদক পরিবারের সকলেই হোলির আনন্দ উপভোগ করছে। হোলির উৎসব মানেই রঙে রঙে রঙিন হয়ে ওঠা আর মিষ্টিমুখ। মোদক বাড়িতে তাই রঙ খেলার আসরের মাঝে ‌ চলছে মিষ্টি বানানোর প্রস্তুতি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে মিষ্টি বানানোর জায়গাতে দেখা গেল সিদ্ধার্থকে। কাঁধে গামছা ফেলে মিঠাইয়ের পাশে বসে জিলিপি ভাজছে সিদ্ধার্থ! কান্ড দেখে চক্ষুচড়কগাছ নেটিজেনদের।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মিঠাই সিদ্ধার্থকে হাতে ধরে জিলিপি বানানো শেখাচ্ছে। সিদ্ধার্থের প্রশংসা করে মিঠাই বলে উচ্ছে বাবু পারফেক্ট জিলিপি বানিয়েছে। এরপর মিঠাই আবদার করে বলে, “আর চাকরি না করে আমাদের এই মিষ্টির বিজনেসে যোগ দাওনা মোদক বাবু”! ১৩ই মার্চ থেকে ২১শে মার্চ পর্যন্ত ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ স্পেশাল পর্বে দেখানো হবে গল্পের নতুন মোড়। সিদ্ধার্থ মিষ্টির ব্যবসায় মিঠাইয়ের পাশে দাঁড়ালে দারুণ খুশিই হবেন দর্শকরা। প্রোমো নিচে কমেন্ট বক্সে তাদের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।