কলকাতা মেট্রোয় প্রকাশ্যে দাঁড়িয়ে চুমু! যুগলের ভিডিও দেখে ছিঃ ছিঃ করছে নেটপাড়া

কলকাতা মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে সবার সামনে প্রকাশ্যেই চুমু খেলেন এক প্রেমিক যুগল। আর সেই নিয়ে হৈ হৈ কান্ড শুরু হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়াতে। গোটা সোশ্যাল মিডিয়া এখন দুই দলে বিভক্ত। একদল, যারা ছিঃ ছিঃ করছেন ওই যুগলকে। কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। আরেক দল তাদের সমর্থনে যুক্তি দিচ্ছেন। ঠিক কী ঘটেছিল ঘটনাটা?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় কলকাতা মেট্রো স্টেশন থেকে। তাতে দেখা যায় কালীঘাট মেট্রো স্টেশন পিলারের পাশে দাঁড়িয়ে এক যুগল চুম্বনে রত। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ে। মেট্রো স্টেশনে দাঁড়িয়ে এভাবে চুমু খাওয়া ঠিক না ভুল, সেই নিয়ে চলছে জোরদার আলোচনা। পাবলিক প্লেসে ঘনিষ্ঠতা ন্যায়সঙ্গত, নাকি অশ্লীলতা? চলছে বিস্তর বাদানুবাদ।

Kolkata metro

নীতিপুলিশদের দাবি, ওই যুগল মোটেও এটা ঠিক কাজ করেননি। পুলিশ কোনও কেস না দিয়ে শুধু ৫০ ঘা লাঠির বাড়ি দিলেই এরা আর সাত জন্মেও রাস্তায় এসব করত না, বলছেন একদল মানুষ। তবে এর ঘোরতর বিরোধিতা করে কেউ লিখছেন এখানে তো নগ্নতা বা অসভ্যতা কিছু হচ্ছে না। কাউকে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ অপরাধ হতে পারে না। একই সঙ্গে কেউ যুক্তি দিচ্ছেন, রাস্তাঘাটে কেউ মারপিট করলে তখন কেউ থামাতে এগিয়ে যায় না। ‘নিজেদের ব্যাপার’ বলে এড়িয়ে যান সকলে। তাহলে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হলে ক্ষতি কোথায়?

আবার কেউ বলছেন, কনসেন্ট নিয়ে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সামনে এসে চুমু খেলে সবাই বলেন “কি রোমান্টিক!” মায়ামি বিচে চুমু খেলে‌ বলেন, “Me And Who?” কলকাতা মেট্রোতে নিজের শহরে চুমু খেলে তখন সবাই বলবে, “এমা, এসব কি করছে দেখো।” এসব হিপোক্রেসির বিরুদ্ধে সমালোচকদেরই ধুয়ে দিলেন নেট নাগরিকরা।

আরও পড়ুন : বাজেটে সিনেমাকেও হার মানাবে! টিভির সবথেকে দামি শো কোনটি?

আরও পড়ুন : রূপে লক্ষী গুণে সরস্বতী, বলিউড সুন্দরীদের থেকে কোনও অংশে কম নন অল্লু অর্জুনের স্ত্রী

বাদ পড়েননি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। তিনি লিখেছেন, “বেশ করেছে চুমু খেয়েছে ঘুষ খায়নি তো আপনাদের মতো। Get a life Man”। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও লিখেছেন, “মেট্রো স্টেশনে এক যুগল একে অপরকে চুমু খেয়েছে, এতে আপত্তি করার কারণ কী? আপনারা কি কোনোদিন কাউকে ভালোবেসে চুমু খেতে চাননি? প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া যে ভারতের আইনে অপরাধ, তা তো জানা নেই। তাছাড়া, চুমু খাওয়াকে কখনোই অশ্লীল কাজ হিসেবে গণ্য করা যায় না। চুমু বা আলিঙ্গন ভালোবাসা প্রকাশের এক স্বাভাবিক এবং আইনসিদ্ধ মাধ্যম, যা মানুষের অনুভূতি এবং স্নেহ দেখানোর স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে।”