সেইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা পুরোটাই মিথ্যে? সবটাই ছিল সাজানো নাটক? হাসপাতাল থেকে সেইফ বাড়ি ফিরতেই উঠে এলো এই প্রশ্ন। নেট নাগরিকদের দাবি সেইফের নাকি কিছুই হয়নি! আসলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেইফ আলি খানকে দেখে সকলের চোখ কপালে উঠেছে। আর তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়েছে কানাঘুষো। কী বলছেন নেট নাগরিকরা?
বৃহস্পতিবার ভোররাতে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সেইফ। তারপর মঙ্গলবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় সেইফের পরনে ছিল সাদা শার্ট, জিন্স। বাঁ হাতের কব্জিতে বাঁধা ছিল ব্যান্ডেজ। ছোট করে ছাঁটা চুল, পরিষ্কার কামানো দাঁড়ি। তিনিই যে কদিন আগে ভয়ংকর ভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেটা তাকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না। রীতিমতো বীর বিক্রমে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে হাত নাড়িয়ে বাড়ির পথ ধরেন সেইফ। আর এসব দেখেই কার্যত সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশ্নের বন্যা বয়ে গেল।
সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন আদেও কি সেইফের কিছু হয়েছিল? কারণ তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ডাক্তারদের মুখ থেকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে একের পর এক যে সব আপডেট পাওয়া যাচ্ছিল তাতে সকলেই চিন্তিত ছিলেন তাকে নিয়ে। কিন্তু সেইফ এই অবস্থায় রেখে তাদের চিন্তা দূর হয়েছে। বরং মনে নতুন প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। তাদের যুক্তি যার মেরুদন্ডে অত বড় অস্ত্রপচার হয়েছে, তিনি কীভাবে এত তাড়াতাড়ি এইভাবে চলাফেরা করতে পারেন? কেউ বলছেন, আসলে বিষয়টা যা ঘটেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে এর থেকে অনেক বেশি রটনা রটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : হাসপাতাল থেকে ফিরতেই নতুন বিপদ! সব হারিয়ে মাথায় হাত সেইফ আলি খানের
আরও পড়ুন : সইফ নন বাংলাদেশি হামলাকারীর লক্ষ্য ছিল ছোট্ট জেহ? তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কেউ কেউ তো আবার গোটা ঘটনার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। তাদের মধ্যে একজন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তসলিমার দাবি, সাইফ আলী খান যেখানে থাকেন সেখানে নিরাপত্তা এতটা কম থাকবে যে বাইরে থেকে যে কেউ অনায়াসে ঢুকে পড়ে সেইফের উপর হামলা চালাবেন, এটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। তসলিমার এই মন্তব্যের সাথে অনেকেই একমত হয়েছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে সেইফ এখনও কোনও জবাব দেননি।