বলা হয় ডাক্তার মানে ভগবান। তবে না, ডাক্তার যে কসাইয়ের থেকেও অধম হতে পারে, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। তিনি এত বড় একটা পদে থেকেও চরম অমানবিক। নিজের স্ত্রীর প্রতি তিনি যে দুর্ব্যবহার করেছেন, না শুনলে অবাক হবেন। সম্প্রতি সন্দীপ ঘোষ এবং তার মায়ের কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে ফাঁস করে দিলেন প্রতিবেশীরাই।
‘মানুষ নয়, ও অমানুষ!’, সন্দীপ ঘোষ প্রসঙ্গে এমনটাই এক বাক্যে বলছেন তার প্রতিবেশীরা। শুধু সন্দীপ একা নন, তার মাও নাকি ভীষণ অত্যাচারী এবং অমানবিক। পড়াশোনাতে বরাবরই এক নম্বরে থাকা ছেলেটা শিক্ষকদের নজরে ছিল আদর্শ। কিন্তু তার স্বভাব-চরিত্র একমাত্র টের পেয়েছেন তার বন্ধু, কাছের মানুষ এবং প্রতিবেশীরা। নিজের স্ত্রী এবং সন্তানের প্রতিও কোনও সহমর্মিতা ছিল না তার, বলছেন প্রতিবেশীরা।
মল্লিক বাগান এলাকায় আগে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ছিল। তার পুরনো প্রতিবেশীরা রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন তাকে নিয়ে। না, আরজি করের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে নয়, তাদের মনে ভেসে উঠেছে কয়েক বছর আগে সন্দীপ এবং তার মায়ের চরম জঘন্য আচরণের কথা। তখন সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সন্দীপের স্ত্রী। পেশায় তিনিও একজন ডাক্তার। সিজারের পর সবে ১৪ দিন কেটেছে। ওই অবস্থাতেই তার উপর অত্যাচার শুরু করে সন্দীপ এবং তার মা।
প্রতিবেশীরা বলছেন, সন্দীপ তার স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিল। যে কারণে স্ত্রীর পেটের সেলাই ফেটে যায়। যখন তার বাবা-মা তাকে নিতে আসেন তখন তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নিরুপায় বাবা-মা তখন প্রতিবেশীদের দ্বারস্থ হন। কোনও রকমে মেয়েটাকে ওই পাষন্ডদের কবল থেকে বের করে আনতে চাইছিলেন তারা। তবে সন্দীপ ও তার মা ছাড়ার পাত্র নন। যদিও বহু কষ্ট, জঘন্য ব্যবহার সহ্য করে প্রতিবেশীরা সেদিন সন্দীপের স্ত্রীকে বের করে আনতে পেরেছিলেন।
এতটা শুনেই শিউরে উঠলেন? না, অমানবিকতার এখনও কিছু বাকি আছে। সেদিন সন্দীপের স্ত্রী শুধু নাইট গাউন পরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এক রত্তি শিশুটির সেটুকুও জোটেনি। তাকেও বিনা বস্ত্রে বের করে দেওয়া হয় মায়ের সঙ্গে। সন্দীপের স্ত্রী কোনও মতে তার নাইট গাউনে সন্তানকে জড়িয়ে বের হয়ে এসেছিলেন ওই অমানুষ, পাষন্ডদের কবল থেকে।
আরও পড়ুন : পৌরুষত্ব ফলিয়েছেন, হস্তমৈথুন করেছেন! প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন গায়ক অনিন্দ্য
সন্দীপের ছোটবেলার বন্ধুরাও এক বাক্যে স্বীকার করেছেন তার স্বার্থপরতার কথা। তিনি কোনদিন কোনও বন্ধুর ভাল দেখতে পারতেন না। সন্দীপ যখন নিজে ডাক্তার ছিলেন তখন রোগীদের থেকে ডবল ডবল ফিজ নিতেন। “মোটেও ভালো মানুষ নয়”, সন্দীপ প্রসঙ্গে তার প্রতিবেশী থেকে চেনা পরিচিত সকলেরই মুখে একই কথা। এহেন সন্দীপ ঘোষ ক্ষমতা বলে আরজিকর মেডিকেল কলেজেও বহু অন্যায় এবং অনৈতিক কাজ করেছেন। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে সেসব।