“চটি চাটা!”, চূড়ান্ত অপমানের পর মুখ খুললেন নচিকেতা চক্রবর্তী

বাঙালির অতি প্রিয় গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty)। কিন্তু রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তার অনেক ট্রোলার বা সমালোচক তৈরি হয়েছে দিনে দিনে। আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে সামিল হয়েও রাজনৈতিক দিক থেকে চূড়ান্ত ট্রোল হতে হচ্ছে নচিকেতাকে। এতে মনে বেজায় কষ্ট পেয়েছেন নচিকেতা। বাঙালির থেকে তিনি এতটা অপমান আশা করেননি।

আরজি করের ঘটনা ঘটার পর প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন নচিকেতা। ১৪ ই আগস্ট আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি একটি কবিতা পাঠ করেন। ‘মা তুমি এসো না’ কবিতাটি ছড়িয়ে পড়তে বিশেষ সময় নেয়নি। সেই কবিতার পোস্টের নিচেও শুরু হয় ট্রোলিং। এতে বেজায় বিরক্ত গায়ক। তিনি আনন্দবাজারের কাছে উগড়ে দিয়েছেন তার মনের ক্ষোভ।

Nachiketa Chakraborty

নচিকেতার কথায়, “প্রথম প্রতিবাদ তো আমিই করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি কারও পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ না করলে ট্রোলিং শুরু হবে।” নচিকেতা বলেছেন, প্রতিবাদ কীভাবে করা উচিত সেটা একান্তই ব্যক্তির নিজের উপর নির্ভর করে। তিনি তার মত প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে কেন তিনি পথে নামেননি। বাঙালির এই চেহারা দেখে তিনি খুবই অবাক হয়েছেন।

অথচ এই নচিকেতাই সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় পথে নেমেছিলেন। তিনি বলেন এত বছর রাস্তায় নেমে তার সারা শরীরে ধুলো জমেছে। এখন তার বয়স হয়েছে। তিনি এখন আর রাজনীতি করেন না। তবে যারা প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছেন, তাদেরও অপমান করা হয়েছে। অপর্ণা সেনের নাম নিয়েছেন তিনি। নচিকেতা মনে করেন আসলে শিক্ষিত মানুষদের প্রতিবাদ থেকে সরিয়ে দিতে চাওয়া হচ্ছে।

Nachiketa Chakraborty

নচিকেতার আক্ষেপ, “৩১ বছর যে বাঙালির জন্য নিজেকে সঁপে দিলাম। সেই বাঙালিই আজ আমাকে ট্রোল করছে। আমি সত্যিই দুঃখ পেয়েছি।” নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “নবান্ন অভিযানে ছাত্রদের আমরা দেখেছি। বাংলা বন্ধ। পুরো বিষয়টার মধ্যেই তো রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। চিরকালই দেখেছি এই ধরনের সামাজিক প্রতিবাদের ক্ষেত্রে একসময় নজর সরে যায়। সেটা হতে দেওয়া যাবে না।’’

আরও পড়ুন : শাসকের চাপে অরিজিৎ সিং! নিলেন কঠিন সিদ্ধান্ত, মাথায় হাত ভক্তদের

Nachiketa Chakraborty

আরও পড়ুন : ছেলেমেয়েকে যৌনশিক্ষা দিয়েছেন কীভাবে? জানালেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

নচিকেতার মতে, আর জি কর প্রসঙ্গ এখন সিবিআইয়ের হাতে। সুপ্রিম কোর্ট এটা নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও রাজ্যের হিংসা এবং ভাঙচুর চলছে। লাশের রাজনীতি চলছে। এসব তিনি মানতে পারেন না। মানুষের বোধের উন্নয়নের জন্য গান করেছেন তিনি। কিন্তু সেই উন্নতি হয়নি। তা না হলে একটা মেয়ের সঙ্গে আজ এরকম নারকীয় ঘটনা ঘটতে পারতো না।