কত টাকার মালিক মুকেশ আম্বানির ছোট বউমা Radhika Merchant

Radhika Merchant Net Worth : মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানিকে (Anant Ambani) বিয়ে করে তিনিও এখন আম্বানি পরিবারের সদস্যা। অবশ্য সামাজিক বিয়ে এখনও বাকি। কিন্তু এনগেজমেন্ট এবং প্রি ওয়েডিংয়ের পর থেকে মুকেশ আম্বানির বৌমা হিসেবেই পরিচিত হচ্ছেন রাধিকা মার্চেন্ট (Radhika Merchant)। ভারত শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরের বৌমা তিনি। তার নিজের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

প্রায় ১২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের ৩ দিন ব্যাপী প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে। অবশ্য মুকেশ আম্বানির প্রায় ৮ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তির কাছে তা নস্যি মাত্র। তবে আম্বানি পরিবারের ছোট বৌমাও কিন্তু কিছু কম যান না। তিনি এনকোর হেলথ কেয়ারের সিইও বীরেন মার্চেন্টের মেয়ে। সেই সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডিরেক্টর পদেও রয়েছেন।

Radhika Merchant

রাধিকা মুম্বাইয়ের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুল ও ইকোল মন্ডিয়েল ওয়ার্ল্ড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন তিনি। শুধু পড়াশোনা নয়, নাচও করেন রাধিকা। তিনি নিভা আর্টসের গুরু ভাবনা ঠাকুরের কাছ থেকে ভারতনাট্যম শিখেছেন।

এই মুহূর্তে রাধিকা তার বাবা বীরেন মার্চেন্টের সংস্থা এনকোর হেলথ কেয়ারের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। তার দিদি অঞ্জলি মার্চেন্ট ম্যাজিথিয়াও বাবার কোম্পানিতে একই পদে রয়েছেন। বীরেন মার্চেন্টের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন ৭৫৫ কোটি টাকা‌। আর রাধিকার সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা।

Radhika Merchant

রাধিকা এবং অনন্ত একে অপরকে খুব ছোটবেলা থেকে চেনেন। বহু বছর ধরে প্রেম করছেন তারা। গত বছর তাদের এনগেজমেন্ট হয়। এই বছর প্রি ওয়েডিং হল মার্চ মাসে। সামাজিক বিয়ের অনুষ্ঠান হবে আগামী জুলাই মাসে। তাই এখন তার জন্য প্রস্তুতি চলছে। বিয়ের আসল অনুষ্ঠানটি কোথায় হবে সেটা অবশ্য এখন গোপনই রাখছে আম্বানি পরিবার।

আরও পড়ুন : মুকেশ আম্বানির ছেলেমেয়েদের মধ্যে কার শ্বশুরবাড়ি সবথেকে বড়লোক?

Anant Ambani And Radhika Merchant`s Pre Wedding

আরও পড়ুন : বোনের মতই সুন্দরী! অনন্ত আম্বানির শ্যালিকা আসলে কে?

আম্বানি পরিবারের বৌমা হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবতী বলে মনে করছেন রাধিকা। তিনি মনে করেন এমন সুযোগ এবং এমন ভাগ্য খুব কম মানুষেরই হয়। সেই সঙ্গে রাধিকা আরও বলেছেন, “আমি আশা করি যে আমাদের বিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্র ভানতারার প্রতি বিশ্বব্যাপী মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। এটি এমন একটি প্রকল্প যা আমার স্বামী এবং আমার হৃদয়ের খুব কাছের।’