Mukesh Ambani`s Antilia House Electric Bill Revealed : রিলায়েন্স গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Group Of Industries) -র মালিক তিনি। শুধু ভারতে নয় তার ব্যবসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দিন প্রতিদিন তার সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ছে। রিলায়েন্সের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ক্রমে বিশ্বের সেরা ধনকুবেদের তালিকায় এক ধাপ করে উপরে উঠছেন। তার এবং তার পরিবারের জীবনযাপন কৌশল কোনও রাজকীয় পরিবারের থেকে কিছু কম যায় না।
মুম্বাইয়ের বুকে অবস্থিত অ্যান্টিলিয়া হাউস (Antilia House), যেখানে আম্বানি পরিবার থাকে সেটা হল ভারত তথা এশিয়ার সবথেকে দামি বাড়ি। এমনকি গোটা বিশ্বের নিরিখে বাকিংহাম প্যালেসের পরে অ্যান্টিলিয়া হাউস দামের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এহেন অ্যান্টিলিয়ার রক্ষণাবেক্ষণেও প্রতিমাসে প্রচুর টাকা খরচ হয়। তবে সব থেকে বেশি অবাক করবে এই বাড়ির বিদ্যুৎ বিল (Electric Bill) কত আসে সেই সংখ্যাটা।
মুম্বাইয়ের অভিজত এলাকাতে অবস্থিত ২৭ তলা বিল্ডিংয়ের বাড়িটিই হল অ্যান্টিলিয়া। বাড়ি শুধু নয়, এর ভেতরে যেন একটা আস্ত শহর রয়েছে। স্পা, জিম, হেলিকপ্টার ওঠানামার জন্য হেলিপ্যাড, সুবিশাল হল, ৫০ আসন বিশিষ্ট থিয়েটার, কি নেই এই বাড়ির ভেতরে! আম্বানি পরিবার ছাড়াও এই বাড়িতে থাকেন ৫০০ থেকে ৬০০ কর্মচারী। স্বাভাবিকভাবেই অ্যান্টিলিয়ার ভেতরে ঘর সংখ্যা নেহাত কম নয়।
মুকেশ আম্বানির বাড়িতে নাকি ৫০ টিরও বেশি ঘর রয়েছে। বেডরুম, ডাইনিং রুম, কিচেন, বাথরুম থেকে হল ঘরে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এত অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা সম্বলিত রাজপ্রাসাদের মত বাড়িতে বিদ্যুৎ বিলও কোটি টাকার আশেপাশেই আসবে। সূত্রের খবর, অ্যান্টিলিয়াতে প্রতি মাসে ৬৩৭.২৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল আসে। যার জন্য মাসে মুকেশ আম্বানিকে কত বিল দিতে হয় জানেন?
যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ইউনিট খরচ হয় মুকেশ আম্বানির বাড়িতে তাতে হিসেব অনুসারে এক মাসে ৭০ লক্ষ টাকা শুধু বিদ্যুৎ বিলের পেছনেই খরচ হয়ে যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ একটি মধ্যবিত্ত পরিবার এই টাকায় হেসেখেলে গোটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে। অবশ্য অ্যান্টিলিয়ার প্রত্যেক ঘরে, বাড়ির কোনায় কোনায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাই তাদের বিদ্যুৎ খরচও বেশি।
আরও পড়ুন : সোনার দোলনা দিয়ে রামচরণের মেয়ের মুখ দেখলেন নীতা-মুকেশ আম্বানি, জানেন এর কত দাম?
বাইরে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যে আবহাওয়া চলুক না কেন, অ্যান্টিলিয়ার ভেতরের আবহাওয়া সেখানকার বাসিন্দাদের মনমর্জিমত বদলাতে পারে। সুইমিং পুল, স্নোরুম, বলরুম, ব্যক্তিগত থিয়েটার কোনও কিছুরই অভাব নেই। নীতা আম্বানির বাথরুম তো আবার ভীষণই সৌখিন জায়গা। থ্রি-ডি ইফেক্টসমেত সেখানে এমন সুবিধা রয়েছে যে বাথরুমের মেঝে এবং দেওয়ালের দৃশ্য বদলে পাহাড়, ঝর্ণা কিংবা সমুদ্রে পরিণত করা যায়।
আরও পড়ুন : মিনিটে মিনিটে রং বদলায়! নীতা আম্বানীর এই গাড়ির দামেই গোটা বিশ্ব ঘোরা যাবে