Anant Ambani Wedding : ১ থেকে ৩রা মার্চ, গুজরাটের জামনগরে মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং নিতা আম্বানির (Nita Ambani) ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির (Anant Ambani) প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানের আসর বসেছে। নাচে-গানে আসর কাঁপিয়েছেন বলিউড থেকে হলিউড তারকারা। তবে তাদের মধ্য থেকে আলাদাভাবে নজর কাড়লো মুকেশ আম্বানি এবং নিতা আম্বানির নাচ। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হল তাদের সেই নাচের ভিডিও।
প্রখ্যাত ব্যবসায়ী বীরেন্দ্র মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা মার্চেন্টের (Radhika Merchant) সঙ্গে আগামী ১২ই জুলাই সাতপাকে বাধা পড়বেন অনন্ত আম্বানি। বিয়ের আগে প্রাক বিবাহের অনুষ্ঠান হল ধুমধাম করে। আর তাতেই রাজ কাপুরের ‘শ্রী ৪২০’ ছবির কালজয়ী গান ‘পেয়ার হুয়া’র তালে নাচলেন মুকেশ ও নিতা। নিতা আম্বানি এদিন শাড়ি পরেছিলেন। কুর্তা-পায়জামা পরেছিলেন মুকেশ আম্বানি।
Mukesh Ambani Nita Ambani Dance Video
কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে মুকেশ ও নিতার এই নাচের রিহার্সালের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এবার আসল অনুষ্ঠানের মূল ঝলক প্রকাশ পেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায় এই ভিডিওটি। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের নাচের প্রশংসা করছেন সকলে। কেউ লিখছেন, “কী মিষ্টি! এখনও ভালোবাসায় ভরপুর।” কেউ লিখছেন, “দুর্দান্ত।”
কেউ মজা করে লিখছেন, “যতই টাকা থাকুক, বউয়ের ইশারাতে নাচতেই হয়।” আবার কেউ লিখছেন, “অসুস্থ সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের আলাদা টান থাকে। সন্তান যাতে স্বাভাবিক অনুভব করে তার জন্য মুকেশ ও নিতা সবকিছু করতে প্রস্তুত। তা সে যতই কঠিন হোক না কেন।” আসলে মুকেশ-নিতার ছোট ছেলে অনন্ত সিভিয়ার অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। যে কারণে অনেক কষ্টকর চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে।
মাঝেমধ্যেই অ্যাজমা অ্যাটাক হওয়ার কারণে প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগতে হয় অনন্তকে। যে কারণে তাকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নিতে হয়। স্টেরয়েড তাকে সাময়িক আরাম দিলেও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতে অনন্তর ওবিসিটির সমস্যা বেড়েছে। অনেক বেশি মোটা হয়ে যাচ্ছেন তিনি। মাঝে কঠোর ডায়েট এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে ১৮ মাসে ১০৮ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যাটা আবারও ফিরে আসে।
আরও পড়ুন : আম্বানির ছেলের বিয়েতে এক রাতের জন্য নাচতে কত টাকা নিচ্ছেন রিহানা?
আরও পড়ুন : শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ! কেন এত মোটা হয়ে গিয়েছেন অনন্ত আম্বানি?
প্রাক বিয়ের আসরে অনুষ্ঠান মঞ্চে অনন্তর মুখে উঠে আসে তার রোগের কথা। উঠে আসে তার জন্য বাবা-মায়ের কষ্টের কথা। তিনি বলেন, আমি ভাগ্যবান যে, “পরিবারের সবার সঙ্গে সুখ ভাগ করে নিতে পারি। আমার জীবন সবসময় গোলাপের বিছানার মতো নরম ছিল না। শৈশবে আমি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু আমার বাবা-মা কখনোই আমাকে আলাদা মনে করেননি। তাঁরা সবসময় আমাকে সাপোর্ট করেছেন। আমাকে সাহস দিয়েছেন। আমাকে উত্সাহিত করছেন।” ছেলের কথা শুনে কেঁদে ফেলেন মুকেশ আম্বানি।
View this post on Instagram