এই মুহূর্তে ভারত তথা এশিয়ার এক নম্বর শিল্পপতি হলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তিনি রিলায়েন্স (Reliance) -র যে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন গোটা বিশ্বজুড়ে তার অর্থমূল্য হাজার হাজার কোটি টাকা। অনেক কর্মী কাজ করেন এই সংস্থায়। তাদের বেতনের অংকটা আকাশছোঁয়া। তবে মুকেশ আম্বানি এবং তার যোগ্য উত্তরসূরী তিন ছেলেমেয়ের বেতন কত জানেন?
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন মুকেশ আম্বানি। তার তিন ছেলেমেয়ে আকাশ আম্বানি (Akash Ambani), অনন্ত আম্বানি (Anant Ambani) এবং ইশা আম্বানি (Isha Ambani) -ও বর্তমানে সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত আছেন। সম্প্রতি তাদের বেতনের অংকটা ফাঁস হয়েছে। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর বার্ষিক প্রতিবেদনে যে তথ্য উঠে আসছে তা জানলে ঘুরে যাবে মাথা।
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে মুকেশ আম্বানি গত এক বছর ধরে একটি টাকাও বেতন নেননি। এমনকি তার ছেলেমেয়েদের জন্যেও মাসে কোনও পারিশ্রমিক বরাদ্দ নেই। সংস্থার আধিকারিকদেরকে মোটা অংকের মাইনে দেন তারা। টাকার অংকটা কোটি ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু নিজেদের জন্য পারিশ্রমিকের কোনও ব্যবস্থাই রাখেননি তারা। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
রিলায়েন্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছে করোনা অতিমারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে মুকেশ আম্বানি স্বেচ্ছায় বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বজায় আছে। তবে সংস্থার আধিকারিকদের বেতন কমাননি। শোনা যায় তারই পথ অনুসরণ করে তার স্ত্রী নীতা, দুই পুত্র আকাশ, অনন্ত এবং কন্যা ইশাও সংস্থা থেকে বেতন নেন না।
২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত কিন্তু মুকেশ আম্বানি নিয়মিত বেতন নিতেন। ওই সময় তিনি বছরে ১৫ কোটি টাকা করে নিতেন। ২০২২-২৩ সালে সিটিং ফি বাবদ ৬ লক্ষ টাকা এবং ২ কোটি টাকার কমিশন নিয়েছিলেন নীতা আম্বানি। আম্বানি পরিবারের সদস্যদের জন্য এই সিটিং ফি এবং কমিশনেরই বন্দোবস্ত রয়েছে। আকাশ, অনন্ত এবং ইশা ছাড়াও মুকেশ আম্বানির দুই তুতো ভাই নিখিল মেসওয়ানি এবং হিতল মেসওয়ানিও কর্মরত রয়েছেন এই সংস্থায়।
আরও পড়ুন : দেখলেই শিউরে ওঠে গা! কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘কুখ্যাত’ খলনায়ক সুমিত গাঙ্গুলী?
আরও পড়ুন : ৪০ পেরিয়েও অবিবাহিত, সিরিয়ালের এই ৮ ‘আদর্শ বৌমা’ বাস্তবে বিয়েই করেননি
নিখিল এবং হিতল সহ সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জন্য মোট অংকের বেতন এবং আনুষঙ্গিক ভাতা রয়েছে রিলায়েন্সের তরফ থেকে। নিখিল ও হিতল বছরে ২৫ কোটি টাকারও বেশি উপার্জন করেন। আর মুকেশ আম্বানির নিজের তিন সন্তান সিটিং ফি এবং কমিশন বাবদ কিছু টাকা পান। তাদের জন্য কোনও বেতন বরাদ্দ করা হয়নি।