টলিউডের (Tollywood) মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের (Suchitra Sen) কন্যা তিনি। মায়ের পর মেয়েও বাংলা সিনেমা জগতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে এসেছিলেন। সেভাবে সফল না হলেও মুনমুন সেনকে (Moon Moon Sen) এক ডাকে চেনে গোটা বাংলা। তবে শুধু বাংলা নয়, মুনমুন সেনের জনপ্রিয়তা কিন্তু রয়েছে পাকিস্তানেও (Pakistan)। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) যে ছিলেন তার ‘খাস বন্ধু’!
যদিও তখনকার দিনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করে ইমরান খান এবং মুনমুন সেনের মধ্যে নাকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সে কথা অবশ্য অস্বীকার করেননি মুনমুন নিজেও। সেই সময় ইমরান ভারতে খেলতে এলে মুনমুন অবশ্যই তার খেলা দেখতে যেতেন। আর ইডেনে খেলা থাকলে মুনমুন সেনের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন ইমরান খান।
ইমরান খান এবং মুনমুন সেনের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা খবরে নিয়ে সেই সময় বিভিন্ন ম্যাগাজিনের কভার ভরে থাকতো। আজ এত বছর বাদেও অবশ্য দুজনের বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। ২০১৯ সালে সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুনমুন জানিয়েছিলেন ইমরানের সঙ্গে তার এখনও ভাল বন্ধুত্ব আছে। দেখা হলে কথা তো হবেই।
যদিও তখনকার দিনের একাধিক বলিউড নায়িকার সঙ্গেও ইমরান খানের নাম জড়িয়েছিল। শাবানা আজমি থেকে শুরু করে রেখা, আরও অনেক অভিনেত্রীর নাম রয়েছে এই তালিকায়। এদের মধ্যে রেখার সঙ্গে ইমরানের নাকি বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল বলে শোনা যায়। তবে শেষমেষ কোনও সম্পর্ক ধোপে টেঁকেনি।
মুনমুন এরপর বিয়ে করে নেন ত্রিপুরার রাজা ভরত দেববর্মাকে। সুচিত্রা সেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর রাইমা এবং রিয়া নামের দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মুনমুন। এত বছর বাদেও মুনমুন এবং ইমরানের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। যদিও মুনমুন অবশ্য জানিয়েছেন শেষবার ইমরানের সঙ্গে তার বহু বছর আগে দেখা হয়েছিল।
কলকাতায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ইমরানের সঙ্গে তার শেষবার দেখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন মুনমুন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “কলকাতায় ওঁর (ইমরান খান) প্রচুর বন্ধু আছে। আমার স্বামীও ওঁর বন্ধু। ফলে, আমি ইমরানের একমাত্র বন্ধু নই।” পুলওয়ামা কান্ডের সময় ইমরানকে ‘বন্ধু’ বলায় মুনমুন সেনকে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।