মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এবং পদ্মিনী কোলাপুরির (Padmini Kohlapure) জুটি একসময় বলিউডে (Bollywood) বেশ হিট ছিল। ৭০-৮০ এর দশকে পদ্মিনী কোলাপুরি তখন তৎকালীন সময়ের অন্যান্য অভিনেত্রীদের তুলনায় এগিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে। আবার মিঠুনও ততদিনে সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন। বলিউডের এই দুই মহা তারকার মধ্যে দারুণ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সেই বন্ধুত্বের গভীরতা যে কতখানি ছিল সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এনেছিলেন পদ্মিনী।
১৯৮৬ সালে পদ্মিনী কোলাপুরি বিয়ে করেন তার প্রেমিক তথা বলিউড প্রযোজক প্রদীপ শর্মাকে। তবে পদ্মিনী জানিয়েছেন মিঠুন না থাকলে তাদের বিয়েটাই নাকি হত না। বান্ধবীর জন্য সেদিন শুটিং সেটে একেবারে সিনেমার মত দারুণ অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। শুটিং সেটে তিনি পেটে ব্যথার এমন অভিনয় করেন যে পদ্মিনী সেদিন দ্রুত সেট থেকে বেরিয়ে বিয়েটা সেরে এসেছিলেন।
এতদিন এই খবরটা অনেকেরই অজানা ছিল। তবে কিছুদিন আগেই একটি রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। কীভাবে যে তাদের বিয়েটা হয়েছিল সে সম্পর্কে এতদিন কেউ আন্দাজ পর্যন্ত করতে পারেননি। কিন্তু মিঠুনের কীর্তি প্রায় ৩৩ বছর পর তিনি ফাঁস করে দিলেন সর্বসমক্ষে। সেটে যে তারা কেমন খুনসুটি করতেন সেই কথাও তিনি তুলে ধরেন।
পদ্মিনী বলেন সেদিন আসল ঘটনাটা কী ঘটেছিল তা কেও টের পায়নি। শুটিং এর সময়ই মিঠুন পদ্মিনীকে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করেছিলেন। সবার সামনে পেটে ব্যথার এমন অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি যে সবাই তখন তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল। নায়িকার দিকে আর নজর ছিল না কারও। এদিকে নায়িকাও তখন চট করে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান।
সেদিন যতক্ষণ না পর্যন্ত পদ্মিনী ফিরে এসেছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত মিঠুনকে পেটে ব্যথার অভিনয় করতে হয়েছিল। এই ভাবেই তৎকালীন সময়ের বলিউডের এই নামী অভিনেত্রীর বিয়েটা হয়েছিল। বান্ধবীর এই উপকার করলেও কিন্তু বাস্তবে তাদের মধ্যে সম্পর্কটা ছিল সাপে-নেউলের মত। শুটিং সেটে তারা ভীষণ খুনসুটি করতেন।
মিঠুন বলেন পদ্মিনী নাকি সেটে সবার সামনে তাকে সমানে এক চোখ দেখাতেন। মিঠুন বিশ্বাস করতেন এক চোখ দেখালে ঝগড়া হয়। বাঙালিরা এমনিতেই এক চোখ নিয়ে কুসংস্কারে ভোগে। পদ্মিনী সেটা জানতেন। সেই কারণেই তিনি ইচ্ছে করে মিঠুনের সামনে বারবার এক চোখ রগড়াতেন। ফলে শুটিং সেটেই তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যেত।