গান কিংবা নাচের বিভিন্ন রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন তারকার জন্ম হয়। নাচে, গানে কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিভা রয়েছে যাদের তারা যাতে সঠিকভাবে তাদের প্রতিভার বিকাশ করতে পারেন তাদের সেই সুযোগটাই দেয় রিয়েলিটি শোগুলি (Reality Shows)। আবার এর সঙ্গে জড়িয়ে যায় দর্শকদের আবেগ। কিন্তু বারবার এমন ধরনের রিয়েলিটি শোয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।
কখনও প্রতিযোগীরা, কখনও বিচারকরা কখনও আবার শোয়ের সঞ্চালকরা বারবার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো গুলির বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ তুলেছেন। বিশেষ করে বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে চলে আসা ইন্ডিয়ান আইডলের (Indian Idol) বিরুদ্ধেও এমনতর অভিযোগ রয়েছে। নামে রিয়েলিটি শো হলেও সবটাই নাকি স্ক্রিপ্টেড, সবটাই নাকি সাজানো থাকে প্রথম থেকেই!
সাম্প্রতিক ইন্ডিয়ান আইডলের ১৩ তম সিজন অতিবাহিত হয়েছে। এখনও তার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি দর্শকরা। ঠিক এই মুহূর্তেই শো সম্পর্কে বোমা ফাটালেন সঞ্চালিকা মিনি মাথুর। তিনি ইন্ডিয়ান আইডলের ছ’টি সিজন সঞ্চালনা করেছিলেন। তাই শোয়ের হাল-হকিকত সম্পর্কে ভালভাবেই তিনি ওয়াকিবহল আছেন।
মিনি সম্প্রতি তার একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এখন নাকি ইন্ডিয়ান আইডলের সবটাই বানানো হয়, গল্প তৈরি করা হয়! তার এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে কেঁপে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। সাইরাস বারোচার পডকাস্ট শো’তে এসে তিনি এই সত্যিটা তুলে ধরেন। তিনি বলেন ইন্ডিয়ান আইডলে এখন সবটা সাজানো হয়ে থাকে। একবার ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনীকে নিয়ে তাকে কিছু বিশেষ মুহূর্ত তৈরি করতে বলা হয়েছিল।
মিনি তখন চ্যানেলের নির্দেশমত এই কাজটি করেছিলেন। কিন্তু তারপর তার মনে হয়েছিল শুধুই টাকার জন্য এমন কাজ করা ঠিক হবে না। তাই তিনি শো এর সঞ্চালনা ছেড়ে দেন। তিনি আরও বলেন আগে শোয়ের প্রতিযোগীদের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক তৈরি হত। বাড়িতেও নিমন্ত্রণ করে খাইয়েছেন তাদের। কিন্তু এখন তার সেসব অবাস্তব বলে মনে হয়।
সঞ্চালিকা সত্যিটা ফাঁস করে দিয়ে বলেন অনুষ্ঠান চলাকালীন মাঝে মাঝে প্রতিযোগীদের পরিবারের লোকদের হঠাৎ এসে যাওয়ার যে গল্প দেখানো হয় সেটা সাজানো থাকে। প্রতিযোগীরা আগে থেকেই জানেন কে কখন আসছে। তবুও তাদের অবাক হওয়ার ভান করতে হয়। মিনির আগে কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমারও ঠিক একই কথা বলেছিলেন ইন্ডিয়ান আইডল প্রসঙ্গে। যদিও রিয়েলিটির নামে এমন সাজানো নাটক আজও রমরমিয়ে চলছে।