ভারতের প্রথম অভিনেত্রী কে? ৯৯% মানুষ জানেন না তার নাম

আপনি কি জানেন ভারতের প্রথম অভিনেত্রী কে? না দেবিকা রানী নন, ভারতের প্রথম অভিনেত্রীর নাম আসলে ৯৯% মানুষ জানেন না। অথচ তার পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। তিনি এমন সময় অভিনয় দুনিয়াতে এসেছিলেন যে সময় অভিনেত্রীদের চূড়ান্ত খারাপ নজরে দেখা হত। সমাজ তাদের বলতো পতিতা। তবে সব কলঙ্ক মাথায় নিয়ে ক্যামেরার সামনে পা রেখেছিলেন দুর্গা বাই কামাত। তিনিই ভারতের প্রথম অভিনেত্রী।

ভারতের প্রথম মহিলা অভিনেত্রী কে ছিলেন?

ভারতে যখন সবেমাত্র ক্যামেরার সামনে অভিনয় শুরু হচ্ছে তখন সেই জগত ছিল পুরোপুরি পুরুষতান্ত্রিক। আসলে সিনেমার আগেও ভারতে থিয়েটারের প্রচলন ছিল তবে বরাবরই শাড়ি এবং গয়না পরে মহিলাদের ভূমিকা অভিনয় করতেন পুরুষরা। প্রথম প্রথম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও পুরুষেরাই মহিলাদের পার্ট করতেন। কিন্তু সেই প্রচলন ভেঙে দেন দুর্গা। ১৮৭৯ সালে তার জন্ম হয়। তিনি বিয়ে করেন মুম্বাইয়ের জেজে স্কুল অফ আর্টসের ইতিহাসের শিক্ষক আনন্দ ন্যানোস্করকে। কিন্তু তার বিয়েটা টেকেনি। একমাত্র মেয়ে কমলাকে নিয়ে তিনি আলাদা হয়ে যান স্বামীকে ছেড়ে। শুরু হয় তার জীবনের নতুন অধ্যায়।

Durgabai Kamat

১৯১৩ সালে দুর্গাবাই কামাত মোহিনী ভস্মাসুর সিনেমাতে দেবী পার্বতীর ভূমিকাতে অভিনয় করেন। ওই একই সিনেমাতে তার মেয়ে কমলা বাই মাত্র ১৩ বছর বয়সে মোহিনীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। এইভাবে কমলা হয়ে ওঠেন ভারতের প্রথম শিশু শিল্পী এবং দুর্গাবাই কামাত ভারতের প্রথম মহিলা অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। এর জন্য কিন্তু কম গঞ্জনা সহ্য করতে হয়নি দুর্গাবাইকে। তখনকার দিনে অভিনেত্রীদের বাইজি বলা হত। মেয়েদের অভিনয় করা কি মোটেও সম্মানের নজরে দেখা হত না। তবে দুর্গাবাই এসবের তোয়াক্কা করেননি। তিনি পথ দেখিয়েছিলেন, সেই পথে তার পরিবার শুধু নয়, আরও বহু পরিবারের মেয়েরা অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন : একাই ১০টি পুরস্কার পেল এই ছবি, শাহরুখ-সালমানকে টপকে ‘সেরা নায়ক’ এই অভিনেতা

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Nmic Goi (@nmicmumbai)

আরও পড়ুন : আলিয়া, দীপিকা সবাই ফেল! বলিউডের সেরা নায়িকা ১৭ বছরের এই অভিনেত্রী

ব্রাহ্মণ কন্যা হওয়া সত্বেও দুর্গাবাই‌ সিনেমা এবং থিয়েটার করায় তাকে অনেক কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছিল। ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় তাকে বয়কট করেছিলেন। প্রখ্যাত মারাঠি অভিনেতা চন্দ্রকান্ত গোখলের ঠাকুমা ছিলেন দুর্গাবাই। ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সিনেমার অভিনেতা বিক্রম গোখলে তার প্রপৌত্র। প্রায় ৭০ টি সিনেমাতে অভিনয় করেন দুর্গা। তার অভিনীত শেষ সিনেমাটি ছিল গহরাই যেটি ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়। শেষে ১১৭ বছর বয়সে পুনেতে তার মৃত্যু হয়।