একবার নয়, দুবার নয়, ৫ বার বিয়ের পেতে বসেছেন বলিউডের (Bollywood) একজন অভিনেত্রী। এমনিতে তারকাদের মধ্যে পরকীয়া, একাধিক সম্পর্ক, বহুবিবাহ এসব চলতেই থাকে। বলিউড হোক বা টলিউড, একাধিক বিয়ে করেছেন এমন অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীর সংখ্যা কিছু কম নয়। কিন্তু বলিউডের একজন অভিনেত্রী সব রেকর্ড ভেঙেছেন। সুখী দাম্পত্যের খোঁজে মোট ৫ বার বিয়ে করেছেন তিনি। তিনি কে জানেন?
নাম তার খুরশিদ জেহান। যদিও সবাই তাকে মীনা শোরে (Meena Shorey) নামেই চেনে। তিনি আসলে ছিলেন একজন পাকিস্তানি অভিনেত্রী। অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়াল পিন্ডিতে তার জন্ম হয়েছিল। তবে বলিউডে তিনি খুব সুনাম পেয়েছিলেন। এই অভিনেত্রী ৪০ থেকে ৫০ দশকের একজন দাপুটে নায়িকা ছিলেন। সেই সঙ্গে ডাকসাইটে সুন্দরীও ছিলেন তিনি। ১৯৪১ সালে তিনি অভিনয় শুরু করেন।
বাবার মৃত্যুর পর মীনার মা তিন সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন বোম্বেতে, তার বড় মেয়ে ওয়াজির বেগমের কাছে। এই বোম্বেতে একদিন জামাইবাবুর সঙ্গে ছবির মহরৎ দেখতে গিয়েছিলেন মীনা। তাকে দেখেই পছন্দ হয়ে যায় পরিচালক সোহরাব মোদির। তিনি ওই সিনেমাতেই মীনাকে সুযোগ দিয়ে দেন। ছবিতে তক্ষশীলার রাজার বোনের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
মীনা এতটাই সুন্দরী ছিলেন যে তাকে দেখে তৎকালীন আমলের খ্যাতনামা অভিনেতা তথা প্রযোজক তথা পরিচালক তথা গায়ক জহুর রায় তার প্রেমে পড়ে যান। বিয়েও করেছিলেন তারা। তবে সেই বিয়ে টিকে ছিল মাত্র ১ বছর। মীনা এরপর বিয়ে করেন তার সহ অভিনেতা আল নাসিরকে। কিন্তু এই বিয়েটাও খুব তাড়াতাড়ি ভাঙ্গে।
তৃতীয়বার মীনা বিয়ে করেন রূপ কে শোরেকে। সেই বিয়ে টিকেছিল ৭ থেকে ৮ বছর। এই বিয়েটাও ভেঙেছিল বটে কিন্তু মীনা তার তৃতীয় স্বামীর পদবীতে পরিচিত হয়েছিলেন। দেশভাগের পর মীনা পাকাপাকিভাবে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তার স্বামী রূপ ছিলেন হিন্দু। তিনি থেকে যান ভারতে। পাকিস্তানে গিয়ে আবারও ২ বার বিয়ে করেন মীনা।
আরও পড়ুন : শেষ বয়সে অন্ধ হয়েছিলেন, খোঁজ নিত না ছেলেমেয়ে! খুবই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল ‘জোহরা জবীঁ’র
আরও পড়ুন : অভিনয় ছেড়ে UPSC টপার! আলাপ করুন ভারতের সবথেকে সুন্দরী আইএএস অফিসারের সঙ্গে
মীনার চতুর্থ স্বামী ছিলেন রাজা মীর। তিনি ছিলেন একজন প্রযোজক তথা চিত্রগ্রাহক। যখন এই বিয়েটা ভাঙ্গে তখন ১৯৬২ সালে সহশিল্পী আসাদ বোখারিকে বিয়ে করেন মীনা। মীনার দুটি পুত্র সন্তান ছিল। একটি কন্যা সন্তানকে এরপর দত্তক নেন তিনি। শোনা যায় মীনার অন্তিম জীবন কেটেছে খুবই কষ্টে। বৃদ্ধ বয়সে চরম অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে পড়তে হয়েছিল তাকে। ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের লাহোরে তার মৃত্যু হয়।