মা হওয়া মানে কেরিয়ার বিসর্জন দিয়ে বাড়িতে বসে যাওয়া নয়। এখনকার বলিউড এবং টলিউড অভিনেত্রীরা পথ দেখাচ্ছেন কর্মরতা মায়েদের। বলিউডে এই ট্রেন্ড সেট করেছেন করিনা কাপুর খান থেকে আলিয়া ভাটরা। সন্তান জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই তারা আবার পুরনো ফর্মে ফিরেছেন। তবে বাঙালি অভিনেত্রী মানসী সেনগুপ্ত রীতিমতো নজির গড়লেন। সন্তান জন্মের পর এক মাসও সময় নিলেন না, তিনি আবার ফিরে গেলেন কাজের জগতে।
২০ দিনে কীভাবে ১৫ কেজি ওজন কমালেন মানসী?
গত মার্চ মাসের শেষের দিকে মানসী এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার একটি মেয়েও আছে। দ্বিতীয় প্রেগনেন্সিতে কিছু জটিলতা ছিল তার। তবুও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও তিনি কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ৯ মাস পর্যন্ত তিনি নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তারপর ডেলিভারির জন্য সামান্য ব্রেক নেন মানসী। সি সেকশনে সন্তানের জন্ম দিয়েও শারীরিকভাবে ফিট হতে তিনি সময় নিলেন মাত্র ২০ দিন। আর তারপরেই ফিরলেন ক্যামেরার সামনে।
সন্তান প্রসবের ২২ দিনের মাথায় কাজ শুরু করলেন মানসী
মানসীর এই ডেলিভারির পরবর্তী জার্নিটা কিছু কম রোমাঞ্চকর নয়। সন্তানের জন্ম দেওয়ার ৪ দিন পর তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। গাড়ি চালানোটা তার কাছে স্ট্রেস রিলিফের মতো। আবার কাজের মধ্যে থাকাটাও তাকে মানসিক শান্তি দেয়। প্রেগনেন্সির কারণে তার ওজন বেড়েছিল। কিন্তু ডেলিভারির পর ১৫ কেজি ওজন কমাতে তিনি সময় নিয়েছেন ২০ দিন। এর জন্য ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং পদ্ধতি নিয়েছিলেন তিনি। তবে যা করেছেন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই করেছেন। তারপর ২২ দিনের মাথায় তিনি পৌঁছে যান একটি ফটোশুটের জন্য।
আরও পড়ুন : বোল্ডনেসের সীমা অতিক্রম করলেন মানসী সেনগুপ্ত, শাড়ি ব্লাউজ খুলে দিলেন খোলামেলা ছবি
View this post on Instagram
আরও পড়ুন : স্বামীকে কেন লুকিয়ে রাখেন মানসী সেনগুপ্ত? বরের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্ক কেমন?
এছাড়াও মানসী একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন,‘‘আমি ছেলেকে স্তন্যপানে অভ্যস্ত করাচ্ছি না। কারণ এই অভ্যেস করালে ও সেটা ছাড়া থাকতে পারবে না। এ দিকে মায়ের দুধও দরকার সন্তানের। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দুগ্ধ নিষ্কাশন করে রাখি। তার পর সেটা আমি অথবা আমার পরিবারের অন্য কেউ খাইয়ে দেয়। কারণ মাস কয়েক পরে এই অভ্যেস থাকলে আমি কাজে বেরোতে চাইলে আমাকে ছাড়তে চাইবে না। আমাকে সব দিক দেখতে হবে। কাজে তো বেরোতেই হবে, ভবিষ্যৎটা ভাবতে হবে।’’