পুড়ে গিয়েছিল গোটা মুখ! মুখের বড় বড় ফোসকা চড়া মেকআপে ঢেকে দাঁড়াতেন ক্যামেরার সামনে। ২৫ বছরের কর্মজীবনের সবথেকে ভয়ংকর সময়ের স্মৃতি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী মৈত্রেয়ী মিত্র। শুনলে শিউরে উঠবেন আপনিও। অভিনেত্রীর জীবনের এই দিকের কথা বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। সম্প্রতি এই কথাগুলো সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন মৈত্রেয়ী।
‘সুবর্ণলতা’ সিরিয়াল চলাকালীন স্টেরয়েডের কারণে একসময় মৈত্রেয়ীর পুরো মুখ পুড়ে গিয়েছিল। তখন মাঝপথেই সিরিয়াল ছাড়তে হয়েছিল তাকে। কিন্তু হাল ছাড়েননি মৈত্রেয়ী। মুখে বড় বড় ফোসকা, সঙ্গে অসহ্য জ্বালা নিয়েই ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র সেটে যেতেন রোজ। স্কিন প্রবলেমের জন্য তখন মেকআপও ফেটে যেত। কিন্তু ওই কঠিন পরিস্থিতিতেও মৈত্রেয়ীকে সাহায্য করেছিলেন সিরিয়ালের পরিচালক এবং টেকনিশিয়ানরা। তারা এমন ভাবে সবকিছু সেটআপ করতেন, মৈত্রেয়ীর মুখের ক্ষত কিছুই বোঝা যেত না ক্যামেরায়।
জীবনের কঠিন দিনগুলোতেও টলিউডকে এইভাবে পাশে পেয়ে মৈত্রেয়ী কৃতজ্ঞ। তখন চেহারার ওই অবস্থার জন্য দীর্ঘদিন আয়নাতে মুখ দেখতে পারেননি। শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন প্রচন্ড। তবে টলিউড তাকে হারিয়ে যেতে দেয়নি। ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত। জীবনে যে কঠিন সময় তিনি পেরিয়ে এসেছেন, সেই দিকে এখন আর ঘুরেও তাকাতে চান না মৈত্রেয়ী।
আরও পড়ুন : চোখের বালির বিনোদিনী এখন কোথায়? অভিনয় ছেড়ে এখন কি করছেন অভিনেত্রী?
আরও পড়ুন : জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের ছোট্ট কাঁকন আসলে কে? রইল জি বাংলার খুদে অভিনেত্রীর আসল পরিচয়
অভিনেত্রীর কথায়, “সারা মুখ সেই সময় জ্বলতো, মেকআপ করা হতো কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা গেল পুরো মেকআপ ফেটে গেল, সারা মুখে তখন ফোসকা, বারবার মেকআপ করে অভিনয় করতাম তখন। তবে এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে আমার পরিচালক এবং টেকনিশিয়ান দাদাদের জন্য। তাঁরা সব সময় সাহায্য করেছেন আমায়। এমনভাবে লাইট সেটআপ করা হতো, বা ক্যামেরা এমন অ্যাঙ্গেলে ধরা হত, যাতে আমার মুখের ক্ষত তেমনভাবে বোঝা না যায়। আমি সারা জীবন টলিউডের কাছে কৃতজ্ঞ, এই ২৫ বছরে আমি শুধুই পেয়েছি, টলিউড আমার সবকিছু দিয়েছে।”