সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে লাফটারসেনকে আজ প্রায় সকলেই চেনেন। বাংলায় সবথেকে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে তিনি একজন। তার আসল নাম নিরঞ্জন মন্ডল। প্রায়ই সমাজের বিভিন্ন বাস্তব ঘটনা কিংবা বিষয় নিয়ে ভিডিও বানান তিনি। তার এই ধরনের কনটেন্টে মানসিক স্বাস্থ্য বা মানসিক অবসাদের বিষয়টা ধরা পড়েছে বারবার। আসলে ডিপ্রেশন ঠিক কি সেটা নিরঞ্জন নিয়েই বুঝেছেন ছোটবেলা থেকে। ডিপ্রেশন সেই ছোটবেলা থেকেই তার নিত্যসঙ্গী।
আজ নিরঞ্জন একজন সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর। প্রচুর জনপ্রিয়তা তার। কিন্তু এখনও মানসিক অবসাদের সঙ্গে তার যুদ্ধ জারি রয়েছে। নিরঞ্জন এখনও অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আজও ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়তে তাকে ওষুধ খেতে হয় নিয়মিত। কিন্তু কেন তার জীবনে এত কষ্ট? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন তার মা এবং বাবার বিচ্ছেদের কথা। খুব ছোটতেই তার বাবা-মা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন। এর বড় প্রভাব পড়েছিল ছোট্ট নিরঞ্জনের মনে।
নিরঞ্জন বলেন, “আমার ছোটবেলাটা খুব একটা ভালো ছিল না। বিশেষ করে আমার কৈশোরটা। সেই সময় আমার বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায় আইনিভাবে। ক্লাস ১১-১২ সময়টা খুব বাজে কেটেছে। ওখান থেকেই আমার এই মানসিক অবসাদের শুরু।” এখন অবশ্য বাবার অসুস্থতার কারণে তার মা এবং বাবা আবার একসঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু নিরঞ্জনের অবসাদ এখনও কাটেনি। তাকে এখনও প্রতিদিন ট্যাবলেট খেতে হয়। অবশ্য এসব নিয়ে তিনি এখন আর ভাবেন না।
আরও পড়ুন : পরিচিত দাদার হাতেই যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন ‘লাফটারসেন’ নিরঞ্জন
আরও পড়ুন : সমকামী জেনে তাড়িয়ে দেন বাবা-মা! সিনেমার থেকে কম নয় Laughtersane-এর জীবন
নিরঞ্জনের কথায়, “আমি তো প্রথম প্রথম বুঝতেই পারতাম না কোনটা অ্যাংজাইটি আর কোনটা ডিপ্রেশন। আমার মনে হত এটাই স্বাভাবিক। আমার ভিতরে যখন তোলপাড় হত, তখন আমি ভাবতাম ঠিক আছে। এটা কোনও সমস্যা নয়। কিন্তু এরপর আমি একটা সময় এটা বুঝতে পারি যে, যা হচ্ছে আমার সঙ্গে তা মোটেই স্বাভাবিক নয়। আমার অবশ্যই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।’’